News 14-11-2022
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া তার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের এই অন্যতম রূপকারকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের সুযোগ এখনো আছে। সেই সৃযোগ গ্রহন করে ভুল সংশোধন করা সরকারের উচিত।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা সরকারের নিকট এ দাবী আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম রূপকার ও স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁকে মৃত্যুর এত বছর পরও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে অপারগতা এই রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের ব্যর্থতা ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক।
নেতৃদ্বয় বলেন, মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি এক দিনের জন্যও বিচ্যুত হননি বা অবসর খোঁজেন নাই। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকালব্যপী ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যাক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।
ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বিজ বপন করেছিল। মওলানা ভাসানী বাঙালি চেতনার এক উজ্জল নাম।
তারা বলেন, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে তিনি আছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
এদিকে মওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের উদ্যোগে দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিগুলো হলো: ১৬ নভেম্বর সকল জেলা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা, ১৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ১৭ নভেম্বর সকালে মজলুম জননেতা সন্তোষের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ, জেলায় জেলায় মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠান।
Leave a Reply