‘চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস কোনো কিছুই আর আগের দামে নেই। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে চাপা পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন, আটকে যাচ্ছে মানুষের নিঃশ্বাস’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেনে, ‘বাজারে গেলেই চোখে পড়ে মানুষের অসহায়ত্ব। যা অতিতেও যেমন ক্ষমতাসীন শাসকদের হৃদয় স্পর্শ করে নাই, একইভাবে বর্তমান শাসকদের হৃদয়ও স্পর্শ করছে না।’
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কুপোকাত। সরকার পণ্যের মূল্যের উর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কেননা সরকার প্রথম দিকে সিন্ডিকেটকে কিছুটা চাপে রাখলে পারলেও বর্তমানে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাজার সিন্ডিকেটের নিকট অসহায় আত্মসমর্পন করেছে। তাই সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বাজার সিন্ডিকেট আবারো নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন করছে।’
তারা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক দুটি শব্দ হলো- ‘দারিদ্র্য’ ও ‘দ্রব্যমূল্য’। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন যখন ওষ্ঠাগত তখন রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত হয়ে গেছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় বসে নিজেরাই বাজার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হতে। কিন্তু যাদের জন্য নির্বাচন সেই সাধারণ জনগন ভালো নেই ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে। এ সমস্যা নতুন নয় তবে সম্প্রতি তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলছে।’
বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সর্বদাই অর্থনৈতিক চাপের চক্রে আবদ্ধ। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আমজনতা সকল সময়ই চায় দেশটা ভালো চলুক সেইসঙ্গে ভালো চলুক সংসার জীবন। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের উত্তাপে দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসারে টালমাটাল অবস্থা। অস্থির বাজার ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ বা পণ্যমূল্য যৌক্তিক রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর ভূমিকা তেমন একটা নেই বললেই চলে।’
তারা বলেন, ‘বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের হাজারো অজুহাত। এ জন্য বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরো বেশী কার্যকর করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। অতীতে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজির কারণে মূল্যবৃদ্ধি হবার অভিযোগ ছিল। এখনো অনেক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির অভিযোগ করছেন। বিষয়টি দ্রæততম সময়ে ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অভিযোগ সত্য হলে চাঁদাবাজদে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।’
https://shorturl.fm/av7uT
https://shorturl.fm/cWiR6
https://shorturl.fm/7xGq9
https://shorturl.fm/72mzU
https://shorturl.fm/A7d6t
https://shorturl.fm/T997O
https://shorturl.fm/RHhIv
https://shorturl.fm/dAZLE
https://shorturl.fm/RvagZ
https://shorturl.fm/HgHWY
https://shorturl.fm/s4jg5
https://shorturl.fm/gmiQw