 
							
							 
                    BDNAP NEWS 25-07-2025
২৬ জুলাই, ২০২৫ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ’র ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের ২৬ জুলাই মাসে এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রæয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মধ্যে পাকিস্তানে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে মতবিরোধ দেখা দেয়া। ঐ বছর ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হয়।
মওলানা ভাসানীর পরবর্তীতে এই দলের নেতৃত্ব দেণ জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া। সাবেক মন্ত্রী শফিকুল গনি স্বপন ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ পুনর্গঠন করা হয় এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন লাভ করেন। বর্তমানে জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখার চেষ্টা করছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ন্যাপ’র সকল আনুষ্ঠানিকতা বাতিল
৬৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশের সকল সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।
তারা প্রশিক্ষন বিমান দুঘর্টনায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ন্যাপ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটাসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করে সকল জেলা কমিটিকে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, ৬৮ বছর পূর্বে জাতির এক চরম ক্রান্তিকালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বিশ্বনন্দিত নেতা, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ন্যাপ এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তি, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দুর্নীতি ও দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তারা বলেন, দলের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে মনেপ্রাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। পাশাপাশি দেশ, জাতি, গণতন্ত্রের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকল সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
নেতৃদ্বয় দলের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, পরবর্তী চেয়ারম্যান মশিউর রহমান যাদু মিয়া, পরবর্তী চেয়ারম্যান শফিকুল গানি স্বপন-সহ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে গণশক্তি গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
 
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                         
 
	                                        
Leave a Reply