রুদ্র নীল,স্টাফ রিপোর্টার
৫ মে২০২৫ ইং তারিখে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ২ নং তিন্দু ইউনিয়ন, ৮ নং ওয়ার্ড মংখয় পাড়া( খিয়াংপাড়া) সকাল ৬ টায় জুমে ধান রোপন করতে গিয়ে চিংমো খিয়াং নামে একজন খিয়াং জনগোষ্ঠীর তিন সন্তানের জননীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। উক্ত নারীর পরিবার সহ এলাকাবাসীর অনেক খোজাখুজির পর তাকে মৃতদেহে চোখ উপড়ে ফেলা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঐ নারীর উপর সংগঠিত বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন দেখে এলাকাবাসী নিশ্চিত হন যে তাকে গণধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এলাকাবাসী চিংমো খিয়াং এর পরিবার সূত্রে জানায় যে ঘটনার একদিন আগেও চিংমো জুমে গিয়ে তিন সেটেলার কে দেখে ভয়ে বাড়ি ফিরে আসে।এর পর দিন জুমে গেলে ঐ নারীর সাথে এই পাশবিক ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ শীল ও সদস্য সচিব রেহেনা পারভীন খুশি উক্ত ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয় বলেন সেনাশাসন বেষ্টিত পাহাড়ি জীবনে এমনিতেই নেই কোনো স্বতন্ত্রতা, আছে সংকোচিত স্বাধীনতা। পাহাড়ি নারী, শিশুরা স্থানীয় সেটেলারদের দ্বারা নানানভাবে নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হোন,আলোচিত কল্পনা চাকমা সহ অসংখ্য নারী অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা একটা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। অথচ একই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাদেরও রয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবার অধিকার। কিন্তু পাহাড়ে একের পর এক অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটে ঘটেই যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার কারণ! সর্বশেষ থানচিতে আদিবাসী চিংমো খিয়াং এর ধর্ষণ-হত্যাকান্ড নিশ্চিত ভাবে পাহাড়ের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে আবারও চরম আতঙ্ক তৈরি করেছে,যার দায় রাষ্ট্র কোনো ভাবেই এড়াতে পারেনা।
তাই চিংমো খিয়াং সহ প্রতিটি ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ সহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাতে হবে।
বার্তা প্রেরক
রেহেনা পারভীন খুশি
সদস্য সচীব কেন্দ্রীয় কমিটি
বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন
Leave a Reply