৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহর রক্তগঙ্গা ভাসে।
দিনভর চলে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ।
আওয়ামী লীগ এতো অস্ত্রভান্ডার কোথায় পেল? শতাধিক যুবকের হাতে ছিলো অস্ত্র। বালতিভর্তি বোমা।
২০২৪-এর বিতর্তিক নির্বাচনের এমপি ছিলো ফয়সাল বিপ্লব। তার স্ত্রী ফাহরিয়া আফরিন ছিলো মেয়র। স্বামী-স্ত্রী চেয়ারের বদৌলতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলো। বিপ্লব ছিলো রক্তাক্ত রাজপথের নেতৃত্বদানকারী। আর তার স্ত্রী ফাহরিয়া আফরিন চরাঞ্চল থেকে হুমকি-ধামকি দিয়ে শতবারের অধিক ফোন করে শহরে ক্যাডারদের ঝড়ো করে। বোমা সাপ্লাই দেয় চরকেওয়ার ও মোল্লাকান্দির দুই চেয়ারম্যান যথাক্রমে আফসু ও রিপন পাটোয়ারি।
পিস্তল, বন্দুক-এগুলোর সাপ্লাইয়ার? এগুলো সরবরাহ করে চরাঞ্চলের আধারার বকচরে মেঘনার জলদস্যু ও ডাকাত সর্দার কিবরিয়া মিয়াজী। ভয়ঙ্কর এক ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজী।
তার দাদা এবং তার বাবা খালেক মিয়াজী এবং ভাই সাইফুদ্দিন মিয়াজী, উজ্জ্বল মিয়াজী এবং মিস্টার মিয়াজী মিলে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য তারা ডাকাত।
বংশগত এই ডাকাত মেঘনার আতঙ্ক, খুনি খারাপি, ডাকাতিই তারপেশা। এগুলো করতে লাগে অস্ত্র। তার বাহিনীর কাছে বিপুল পরিমানে অস্ত্র রয়েছে। সম্প্রতি মেঘনার দখল নিয়ে আরেক ডাকাত কানা জহির ও ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজী গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় সদর থানার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্তকে। তাও ডাকাতি ও দস্যুতার টাকায় ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাওয়ার পথে।
তার এই অস্ত্র ভান্ডার সরবরাহ করা হয় ৪ আগস্ট শহরের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে।
ওইদিন তিনজন দিনমজুরকে গুলি করে হত্যা এবং দুইশতাধিক ছাত্র-জনতাকে গুলি করে আহত করার একটি মামলায়ও ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন ও অস্ত্রের যোগানদাতা ডাকাত সর্দার ও জলদস্যু কিবরিয়া মিয়াজির নাম না থাকার কারণ রহস্যজনক। গতরাতে ফয়সাল বিপ্লবকে তার ঢাকার বাড়ি থেকে আটক করা হলেও চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনকে আটক করা হয়নি।
তিনটি হত্যা নিয়ে বাণিজ্য হয়। কিন্তু এদের আসামি না করায় ছাত্র-জনতাসহ মুন্সীগঞ্জবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যেও তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
Leave a Reply