দ্রোহী
আমি বজ্রকন্ঠ মিছিলে দাঁড়ানো মুষ্টিবদ্ধ শত হাত,
আমি গগনবিদাড়ি শ্লোগান “দুরাচার নিপাত যাক”।
আমি বৈষম্যের বিরোধী প্রতিটি রক্ত রাঙ্গা প্রভাতে,
আমি ধিক্কার জানাই, দূর্ণিতী, অপশাসন আর শোষনে প্রতি পদে পদে।
আমি দূর্বার, দূর্জেয়, আমি কালে কালে বহমান তারুণ্য,
আমি ঝাঝালো মিছিল, শাণিত হাত, ভেঙ্গে গড়তে করিনা কার্পণ্য!
আমি বুলেটের সামনে আগুয়ান হয়ে বুক পেতে নিজেকে করি ধন্য,
আমি চির উন্নত শীর, দৃড় শীরদাড়া, আমি নওজোয়ান, আমি বীর অনন্য।
আমি শিরায় শিরায় বহমান টগবগে লাল রক্ত,
ওরে ধ্বয,ওরে ণূজ্য, ওরে জালিম, আমাকে রুখবার তোর নেই সাধ্য।
আদর করে মানুষ করেছি,দেইনি ফুলের টোকা,
মানুষ হতে শিক্ষাঙ্গনে পাঠিয়েছি, তবে আমার ভাইয়ের শরীর কেন রক্ত দিয়ে মাখা?
এ দেশ তোমার এ দেশ আমার, তবে আমার ভাইয়ের শরীর কেন সাদা কাফনে ঢাকা?
রক্ত যখন ঝরিয়েছি তবে বিজয় নিশান হবেই রক্ত দিয়ে আঁকা।
আমি দীপ্ত, আমি নবপ্রজন্ম, আমি বাংলার প্রতিটি ঘরে নবান্ন,
তুই রাজনীতিবিদ,তুই ক্ষমতার ভিখারি, তুই অন্ধকারে ক্ষমতার জন্য বেশ্যা, তুই এই প্রজন্মের কাছে চির ঘৃন্য।
আমি বিশ্বায়নের এই সময় কত গোপন কোড ভেঙ্গে করি জনাকীর্ণ,
স্বদেশের তরে লাখো প্রাণ বিলিয়ে দিতে বাংলার মায়েরা নয় বিচলিত, বিজয়োল্লাসে যুগে যুগে উৎকির্ণ।
ফাগুনের এই আগুন রাঙ্গা, রক্ত রাঙ্গা এই প্রভাতে,
প্রিয় মাতৃভূমি, তুমি ভাললাগা এ প্রজন্মের প্রতিটি নিশ্বাসে আর বিশ্বাসে।
আমি দ্রোহী, আমি দূর্মর, আমি রক্তচক্ষু প্রজ্বল্লিত অঙ্গার,
আমি অমর, অক্ষ্যয়,স্বাধীন পতাকায় আঁকা, সবুজের মাঝে চীর অবিনশ্বর রক্তলাল অহংকার।
Leave a Reply