স্টাফ রিপোর্টারঃ
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর কনক দেব মিঠুর বিরুদ্ধে সেচের লাইসেন্স প্রদানে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক কৃষক।
বিবরণে জানা যায়, ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তাজুল ইসলাম বোরো মৌসুমে কৃষিকাজে পানি সেচের নিমিত্তে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে সেচ লাইসেন্স ও বৈদ্যতিক সেচ মিটার পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর কনক দেব মিঠু। তিনি পর্যায়ক্রমে ওই সরল প্রকৃতির কৃষক তাজুল ইসলামকে ছলেবলে কৌশলে ইউএনও’র নাম ভাঙ্গিয়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন এবং যথারীতি তিনি সেচের যাবতীয় সুবিধাও গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে অন্য একটি কাজের জন্য ইউএনও এর দপ্তরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালান এবং কিভাবে ইউএনও এর দপ্তরে যেতে পারেন সেই সুযোগ খুজছিলেন। এরই মাঝে এক আত্মীয়ের সাথে দেখা হয় তাজুল ইসলামের। সুবিধা নিতে হলে তো ঘুষ লাগে। প্রসঙ্গক্রমে ইউএনও এর ঘুষ গ্রহণের সেই ১৫ হাজার টাকার কথাও প্রকাশ করেন আত্মীয়ের সাথে।
তখনই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। বিষয়টি ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমার কানেও পৌছে। পরে তাজুল ইসলাম জানতে পারেন সেচের লাইসেন্স নিতে কোন টাকাই লাগে না। শুধু ব্যাংক চালান ২শ টাকা ক্ষেত্র বিশেষ ৪শ টাকা লাগে। পরবর্তীতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঘুষ গ্রহণ ও সেই ঘুষের ১৫ হাজার টাকা ফেরত পেতে ইউএও বরাবর গত ২২ আগস্ট লিখিত আবেদন করেছেন তাজুল ইসলাম।
এদিকে অভিযোগের কথা শুনে অভিযুক্ত কনক দেব মিঠু উপায়ন্তর না পেয়ে গত ২৪ আগস্ট সন্ধায় বিপ্লব নামে একজনকে সাথে নিয়ে তাজুল ইসলামের বাড়িতে যান ১৫ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে। তখন তিনি টাকা ফেরত না রেখে তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নিবেন জানান তাজুল ইসলাম।
এভাবেই অসংখ্য মানুষ থেকে সেচের নামে ঘুষ নেয়ার গুঞ্জণ রয়েছে কনক দেব মিঠুর বিরুদ্ধে। এছাড়া চেয়ারম্যান ও ইএনও বরাবর বিভিন্নজনের অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানীতে রায় পক্ষে পাইয়ে দেয়ার নাম করেও টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে মুখে মুখে।
মিঠু অল্প বেতনে চাকুরি করলেও তিনি বাড়ি গাড়িসহ অনেক স্থাবর সম্পত্তি ও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। বাহুবল হামিদনগর ডক্টরস হসপিটালেরও একজন শেয়ার হোল্ডার। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সংবাদও ধারাবাহিক প্রকাশ হয়েছিল পত্র পত্রিকায়।
Leave a Reply