কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স (১২০)
মাহমুদ রেজা চৌধুরী
নভেম্বর, ৮,২০২৩
“তুঝছে নারাজ নেহি
জিন্দেগি হেয়, হয়রান হু -মে
হো হয়রান হু-মে–
তেরি মাসুম সাওয়ালোসে
পেরেশান হু-মে, হো পেরেশান হু-মে
জিনিকে লিয়ে, সোচেহেনেহি
দরদে সমালোনে হোঙগে….”
এলোমেলো: এই মুহূর্তে মনের যে অবস্থা সেখানে বসে খুব গুছিয়ে কিছু লিখতে পারব বলে মনে হয় না। অনেক, অনেক কিছু এই মনের করিডোরে ছোটাছুটি করে। সেখানে “আসার” চাইতে “হতাশা” বেশি। স্বপ্নগুলি একটা, একটা করে শেষের পথে । এটাই শেষ লেখা হয় কিনা! কেবা জানে। যদি বেঁচে থাকি, তাহলে হয়তো লিখবো। সব মৃত্যু তো আর ঘন্টা বাজায়ে আসে না। তা না আসাই ভালো।
ভুলে না গেলে, প্রতিদিন মনে করি, হতে পারে আজকেই জীবনের শেষ দিন। এতে কি লাভ ? লাভ একটা হয়, প্রতিদিন যদি দশজনকে কারণে বা অকারনে, কষ্ট দিই। সেখানে এই সংখ্যা অন্তত “একটা” কমাতে পারি। এইটাই বড় লাভ। এইসব নানান বিষয় নিয়ে ভাবতে গিয়ে মাঝে, মাঝে মনে হয়, জীবন নিয়ে আমি সত্যিই হয়রান এখন। জীবনের প্রতি নারাজ না, কিন্তু জীবনের নানা প্রশ্নে “পেরেশান”!
আমার সার্বক্ষণিক চিন্তা, ভাবন ঘুরেফিরে পারিপার্শ্বিকতা, সমাজ ও দেশের মানুষকে নিয়ে। তাই সব লেখাতেই এই বিষয়গুলি অগ্রাধিকার পায়। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে,
আমাদের সামনের দিনগুলি আরও অনেকে বেশি কষ্ট এবং অমানবিক হবে।
স্বাধীনতা বলি, সার্বভৌমত্ব। ব্যক্তি অধিকার। নীতি নৈতিকতা। আইন, আদালত বিচার। যাই বলি। সর্বত্রই “প্রভুত্ব” আরও বাড়বে আপাতত, তা যেই ক্ষমতায় থাকুক বা আসুক না কেন।
গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলতে পারে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হবে না। কারণ সমগ্র বিশ্বই আজকে গণতন্ত্রের বিপক্ষেই। তবে গণতন্ত্রের “লেবাস” পড়া কোথাও কোথাও। ব্যতিক্রম, থাকতেই পারে। আমাদের দেশেও আছে। নাই কোথায়? যেই দেশে বসে লিখছি (যুক্তরাষ্ট্র), এখানেও একই অবস্থা, কম বেশি।
আমাদের জানাশোনার পরিধি খুবই সংক্ষিপ্ত বা সীমিত। সেইটুকুর মধ্যে দাঁড়িয়ে আমাদের বিভিন্ন মহল এবং শ্রেণীতে অনেক কথা বলি এবং হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে এবং আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে আমরা একেকজন অনেক সময় এমন ভাবে কথা বলি, মনে করি, “আমাদের” চিন্তাটাই ঠিক। অনেকে সেখানে কিছু বললে, বলেন, এটা একটা “প্রতিকি” কথা বা বক্তব্য। এতে “গোসসা” করার কি আছে! আসলেও কিছুই তো নাই। কিন্তু মনের তাৎক্ষণিক “প্রতিক্রিয়া” বলেও একটা বাস্তবতা তো থাকবেই। এটাও প্রতীকি।
আমাদের অনেক কথা প্রতীকি হোক, বা প্রতিবাদী। পড়লে অনেক সময় মনে হয়, “আমি” যাই বলছি তাই সঠিক, তাই হোক। বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের একটা কথা মনে পড়ে। “আমরা যা জানি তা কেবলই এক ফোঁটা পানি। আর যা জানি না, তা হচ্ছে সমুদ্র”। এই এক ফোঁটা পানির জ্ঞান দিয়েই আমাদের অনেকের এই মাটিতে দাপাদাপি, ঝাপাঝাপি। বিদ্যার “শোডাউন”। প্রতিযোগিতাও। মাঝে,মাঝে জীবন হয়তো তাই নীরবে বলে, জীবন নিয়ে আমি পেরেশান! এর “মাসুম” প্রশ্নের কাছে আমি পেরেশান। বাকহারা। তবু অনেকেই মনে করি, আমরা সব জানি। কিন্তু “এই আমরা” জানিই না যে “আমরা জানিওনা” অনেক কিছু। কষ্টটা সেখানে যখন আত্মসমালোচনা হয় বা করি।
প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। আজকে এখানে আমাদের প্রধান সমস্যা কি? নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আকাশচুম্বী মূল্য। সর্বস্তরের মানুষের জন্য নানারকম সামাজিক অনিশ্চয়তায়। অর্থনৈতিক অসম বন্টন। নানাবিধ বৈষম্য। নীতি, নৈতিকতার অবক্ষয়। মূল্যবোধের অবক্ষয়। রাজনীতির অবক্ষয়। রাজনৈতিক অধিকারের পরাজয়। ইতিহাসের বিকৃতি। লাঠির ভয়, গণতন্ত্রের নামে। এই লাঠি দিয়ে গণতন্ত্র “দমনের” চেষ্টা। এইসবের দৃষ্টান্ত কি আমরা ৭২ উত্তর সময় থেকেই দেখে আসছি না? মৌলিক কোন পরিবর্তন বা চেঞ্জ আছে কি? না সেটা নাই। এই না হবার জন্য আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি দায়ী, কোন সরকার একক ভাবেও না। তবু দায়িত্বের প্রশ্নে বা নেতৃত্বের প্রশ্নে সরকারের ভূমিকাটা অগ্রণী হয়। এই কারণেই সরকারের কথা আসে।
অতীত নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করবার কোন দরকার নাই। সেটা অনেকবার হয়েছে। অনেক লেখালেখি, আলোচনা, কথার যুদ্ধ। কম হয়নাই গত অনেক যুগ। সবগুলির দৃষ্টান্ত নাইবা দিলাম। যেহেতু চলতি ঘটনা নিয়ে ই এই লেখা। তাই চলতি দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত রাজনৈতিক দুর্ঘটনার দুই একটা নিদর্শন নিয়ে আবারো বলি। এই কথা বলতে গিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে হয়তো এলোপাথাড়ি ব্যাটিং হতে পারে। সেই ব্যাটিংয়ে কখনো চার, কখনো ছক্কা, কখনোবা রান আউট, বা বোল্ড আউট। হতেও পারি। আপাতত ব্যাট হাতে যখন দাঁড়িয়ে আছি, বল পেটানোই প্রধান কাজ।
গেল ২৮ অক্টোবর রাজনীতির “ক্রিকেট পিচে” দাড়িয়ে, কেউবা দর্শক গ্যালারিতে বসেও দেখি; “বলার” বল ছুরছেন বোলিংয়ের সব নিয়ম-কানুন না মেনে। “অফ বল” । কিন্তু আম্পায়ার কোনটাকেই “অফ” বা “রং বল” বলছেন না। ভুল বলিঙ করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন একদলের খেলোয়াড়কে আহত করে। অ্যাম্পেয়ার সহযোগিতা করছে সেখানে। এই দৃশ্য যে কেবল এখনই দেখছি তাও না। অতীতেও দেখেছি। But no change of it yet. শুরু বরাবরের মতই ২৮ অক্টোবর ২০২৩, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। যখন একটা দল পরিস্থিতির কারণে মাঠে নামতে চেয়েছে ব্যাটিংয়ে। তখন একই ফিল্ডে ও সময়ে অপর দল তারাও মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তটা তারা না নিলে ওইদিনের সংঘাত এড়ানো যেত। তাই এই অরাজকতার “হুকুমের আসামী” কে, যদি থাকে! আরেকটা কথা, আমাদের সংবিধানে বা আইনে কোথাও কি “হুকুমের আসামি” কথাটা আছে ? না থাকলে আমরা কেন কাউকে “হুকুমের আসামী” বলে আসামি করি ? জানিনা।
ঐ দিনের ঘটনা নিয়ে সরকারি বয়ান এবং তাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে মনে হয়, সেইদিনের উশৃংখলতার জন্য দায়ী একটা মাত্র দল, বিএনপি। কিন্তু দেশের মানুষ কি তা মেনে নিয়েছেন, বলে মনে হয়? মানুষকেই জিজ্ঞাসা করুন। তবে “অমানুষকে” না। অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করেছে
নাকি বিএনপি! ইজ ইট? কেউ যদি বলে এটা বিএনপি, করে নাই। আদালতে প্রমাণ করা যাবে কি! নাকি সরকারি উকিলের বয়ানকেই এর শেষ বয়ান হিসেবে ধরা হবে? যুক্তি আসতেই পারে। আবার এটা আওয়ামী লীগ করেছে। তারও প্রমাণ করা যাবে কি! এটারও কি কোন প্রমাণ আছে? এটারও ‘প্রমাণ” কঠিন। তাহলে কি দাঁড়ালো! অভিযোগ প্রমাণের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কোন যুক্তি নাই। কি আছে? আছে সরকারের শক্তি, ক্ষমতা এবং প্রভাব। এই ভাবেই আমরা বিগত অর্ধশত বছর চলে আসছি। ইতিহাস তাই বলে।
অর্ধশত বছর যা চলে গেছে আমাদের স্বাধীনতার পর, প্রতিবারই আমরা বিরোধীদের ‘মত” এবং বিরোধী আন্দোলনকে “দমন” করার চেষ্টা করেছি
রাজনৈতিক অপশক্তির বলে। “ক্ষমতার” বলে। ব্যবহার করেছি রাষ্ট্রকে, নিজের বা নিজেদের “প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান” মনে করে। প্রসঙ্গে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে।
“দেশে তখন চরম কোন আন্দোলন চলছে। রাস্তাঘাটের যত্রতত্র তল্লাশি। পুলিশ তল্লাশির কাজ করছেন। হঠাৎ সিএনজিতে এক বোরখা পরা মহিলাকে আটক করা হয়। আসবাবপত্র চেক করবার নামে। এক পর্যায়ে পুলিশ মহিলাকে প্রশ্ন করে, সে কি করে, স্বামী কি করেন। ছেলেপেলে কি করে ইত্যাদি। মহিলা উত্তর দিলেন সে গৃহবধূ। স্বামী নাই। ছেলেপেলের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,বিয়ের পর আমার যে ছেলে মেয়ে হয়েছে, ওরা কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিদেশে। বিয়ের আগে যারা হয়েছে, ওরা সব পুলিশে যোগ দিয়েছে”!
গল্প, তবু এই জীবনেরই তো গল্প তাই না! আমাদের পুলিশ বাহিনীকে কোনভাবেই ছোট করতে চাই না। বরং দেশের পুলিশ বাহিনীকে, একটা “ইন্সটিটিউশন” মনে করি। কিন্তু তাদের “ব্যবহার” করে “এস্টাবলিশমেন্ট” সাধারণত যা করে, সেটা এদেরকে সরকারের “লাঠিয়াল বাহিনী” বা “অস্ত্রধারী” “প্রাইভেট” বাহিনী করে রাখা। আর যারা সত্যি পুলিশ, আনফরচুনেটলি তারা সবসময়ই ক্ষমতাহীন। এটাই আজকের বাস্তবতা। বিতর্কের কোন জায়গা নাই এখানেও।
সামনে নির্বাচনের সময় আসছে।
সেদিনও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, “তৃতীয় মাত্রা” য় এই বিষয়ে কথা বলতে আসলেন দেশের দুইজন স্বনামধন্য গুণী ব্যক্তি। একজন, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন। অন্যজন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, ডক্টর তোফায়েল। সংক্ষেপে উভয়ে যা বললেন সেটা, দেশে নির্বাচনের “পরিস্থিতি” এখনো বিরাজ করছে না। কারণ, নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার জন্য যে রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করবার কথা বা থাকার কথা। সেটা নাই। তাঁদের উভয়ের কথাতে এটাও প্রমাণ হয় যে, আমাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিও দেশের মানুষের যে বিশ্বাস থাকার কথা বা আস্থা থাকবার কথা। মানুষের সেই আস্থা এবং বিশ্বাস নাই সেখানেও।
দেশের নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে যতটা স্বাধীন তাঁদের কাজে, তাঁরা ততটাই পরাধীন। এই অবস্থায় বসে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা বা তেমন একটা নির্বাচন হওয়া, এক্সিডেন্টলি না হলে, অবিশ্বাস্য হবে। কিন্তু সরকার অগ্রসর হচ্ছেন এই নির্বাচন করবার “জেদ” নিয়েই সংবিধানের দোহাই দিয়ে। অনেকবারই অনেকেই বলেছেন, রাষ্ট্রের সংবিধান রাষ্ট্রের মানুষের জন্য, সরকারের জন্য না। সংবিধান কোন বাইবেল, কোরআন না। এর পরিবর্তন জনগণের স্বার্থে হতেই পারে। কিন্তু তা হবে বলেও মনে হয় না।
চলতি পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, কি হতে পারে! এই ব্যাপারেও একটা ধারণা অনেকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আরেকটা “পাতানো নির্বাচন” বা ‘শক্তি” প্রয়োগের নির্বাচনে বর্তমান সরকার কন্টিনিউ করতেও পারে। এটা সরকার প্রধান চাচ্ছেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে। উন্নতির একক “দৃষ্টি” নিয়ে, দাবি করে।। বর্তমান সরকারের আমলে এই সংবিধানের অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু। হ্যাঁ সংসদে বসে যে কোন সরকার যে কোন কিছু করতেও পারেন। সেই অধিকার সরকারকে দেয়াও আছে। কিন্তু একটা সংসদে যদি “একক” সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে এবং একজনই সেখানে প্রধান থাকেন। সেই সংসদের ভূমিকা কি হতে পারে। সচেতন মানুষকে সেটা বলে দেবার কোন অপেক্ষা রাখে না।
আমাদের রাজনীতিতে অতীতের কোন “প্যাকেজ” বহন করাও সব রাজনৈতিক দলেরই কমানো দরকার। ৫২ বছর আগের বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাস্তবতা আজকে বিরাজ করে না। আমাদের জাতিয় অনেক নেতা ইতিমধ্যে চলেও গেছেন। তাঁদের নামকে ব্যবহার করে, তাঁদেরকে কোথাও কোথাও দলীয় স্বার্থে বিকৃত করা। রাজনীতির এই অপকৃষ্টি থেকেও আমাদের বের হওয়া দরকার।
আমাদের জাতীয় নেতা যারা পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, তাঁরা আর কেউ কখনোই ফিরে আসবেন না। তাঁদের পুরস্কৃত করি বা নিন্দা। তাঁদের তাতে কিচ্ছুই যায় আসে না। তাই রাজনীতিতে কোন অতীত নেতাকেও কথায়, কথায় অশ্রদ্ধা করা বা অবজ্ঞা করার প্রবণতায় আমাদের দূরে থাকতে হবে। তাঁদের যেকোন কাজের সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু তাঁদের কাউকেই “অপমান” করা সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে অসম্মান করা।
কাউকে সম্মান দিলে সেই সম্মান ফিরে পাওয়া যায়। যেমন কাউকে অসম্মান করলে সেটাও ফিরিয়ে দেয়া হয় কোন না কোন ভাবে। এটা প্রকৃতিরই নিয়ম। আর প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করেও মানুষ কখনো বিজয়ী হয় না। আমরা মানুষ প্রকৃতির অধীন, প্রকৃতি আমাদের অধীনে না। প্রকৃতির প্রতিশোধ মানুষের প্রতিশোধের চাইতেও তীব্র এবং অস্বাভাবিক হতে পারে। কখনো সেই প্রকৃতি মানুষের রুপেও আসে। তাছাড়া পৃথিবীতে নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। এইতো সেইদিনের ঘটনা, ইন্দোনেশিয়ার সুনামি। প্রকৃতির প্রতিশোধ কিনা কে জানে। সেই কারণে জীবনের নানান প্রশ্নের মুখে এখন আর অখুশি না, কিন্তু বড় ক্লান্ত। “তেরি মাসুম সাওয়ালোসে পেরেশান হু-মে”।
Email. mahmud315@yahoo.com
Leave a Reply