মাসুদ রানা বাচ্চু
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী সাবের মেহেরুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আজও পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য পায়নি কোন শহীদ মিনার। বিদ্যালয়ে ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ। কিন্তু শহীদ মিনারটি নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারটি নির্মাণ হচ্ছে বিদ্যালয়ের অকেজো পুরাতন ইট দিয়ে। পুরাতন ইট দিয়ে শহীদ মিনার করার ফলে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চলছে নানা রকম সমালোচনা। শিক্ষাথীরা বলছে, শহীদ মিনার নির্মাণ করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ করে নির্মাণ কাজ করা হয়। অভিভাবকরা বলছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ থাকলেও পুরাতন ইট দিয়ে নির্মাণ করা হলে ২/১ বছর পর পুনরায় আবার শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে।
কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী সাবের মেহেরুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৭
সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও অদ্যবধি কোন শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি। বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কারণে ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণ করার ছিল না কোন ব্যবস্থা। এবছর সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম খান এর সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য ৩ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের স্বামী সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলওয়ার হোসেন মানুকে মনোনিত করা হয়। প্রকল্প গ্রহণের করার পর থেকে বিদ্যালয়ের অকেজো শ্রেণি কক্ষের ঘর ভেঙ্গে পুরাতন ইট বের করে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বর্তমানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ চলমান। নির্মাণের এ যাবত শহীদ মিনারে কোন নতুন ইট ব্যবহার করা হয়নি।
এবিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলওয়ার হোসেন মানু বলেন, পুরাতন ইট দিয়ে নাকি নতুন ইট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করব, এটা সাংবাদিকদের কেন বলবো। পারলে জেলা পরিষদে গিয়ে কথা বলতে পারেন।
এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম খান বলেন, পুরাতন ইট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরীর বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। অব্যবহৃত শ্রেণি কক্ষ ভেঙ্গে পুরাতন ইট বের করে শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। পুরাতন ইটগুলোর মান খুবই ভাল। তাই নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়নি। তবে শিক্ষকদের বলে এসেছি, যদি কাজে নয়ছয় করা হয়, তবে বিল দিব না।
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনিসুর রহমান বলেন, পুরাতন ইট দিয়ে শহীদ নির্মাণ করা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাসুদ রানা বাচ্চু সিরাজগঞ্জ
Leave a Reply