আমার নীলাভ ঠিকানা :
দুরগামী স্বরাট আকাশের সুফলা শরীরও
বিশুদ্ধ হৃদয় আমাকে ভালোবাসার সুতিকাগারে নিয়ে যায়,
আমি নিরাময় বৃক্ষের স্নিগ্ধ পাতার স্পর্শে বিমোহিত।
আমি আকাশের ছামিয়ানার নিচে সবুজ খোলা প্রান্তরে বসে
চটুল রোদ আর দুরন্ত হাওয়ার সাথে প্রণয়ের গল্পকথা শুরু করি।
আকস্মিক সুরেলা হাওয়া আমাকে হাত ছুঁয়ে মৃদু ঝাপটা দিয়ে
সবুজের কার্পেটে শুইয়ে দেয়।
আর চপল রোদ আমার চোখের উপর একটি মৃদু আলোর আঘাত দেয়।
আমার চোখ বন্ধ, আমি শায়িত, আমি জাগর-ক্লান্ত।
চোখ খুলে দেখি আমার সামনে-পেছনে, উর্দ্ধে-নিম্নে শক্ত প্রাচীর,
কেবল তিন হাত জমিতে আমি প্রাচীর বেষ্টিত।
বুঝে নিলাম-এটিই আমার নীলাভ ঠিকানা।
সপ্রতিভ রোদ্দুর আর রাজসিক হাওয়া আমাকে বলে,
‘‘তোমাকে অভিনন্দন, শুভ জীবনাবসান’’।
বিপন্নতার সূচীভেদ্য নির্জন আঁধারের আরশিতেও আমি একটি
হিরন্ময় ধ্রুপদী হাসি অবলোকন করি।
হাসিটি কার? আমি নির্ভার, প্রজ্জ্বলিত জীবনের অভিসার।
হয়তো আবারো কোন একদিন মায়াবী কন্ঠে শিল্পিত শব্দচয়নে
কথা বলবো- জাগরণে, প্রভাত সমীরণে, প্রথমারোদে,
প্রত্যুষে, প্রত্যয়ে, প্রফুল্লে।
চোখে পদ্মদীঘির জল, জলের মাঝে একটি নীলোৎপল।
কাজী জিয়া উদ্দিন
ডিআইজি
Leave a Reply