হেমন্ত জাগে –
দূর থেকে ভেসে আসা ভোরে আলগোছে আসে হেমন্ত
সাথে নিয়ে আসে আমাদের স্নিগ্ধ নরম দিন
কুয়াশা মাখা ভোর হয়ে আসে ফসলের দিন আমাদের
মেঠোপথে শিশিরের জল, মিষ্টি রোদ আর
মেটে জ্যোৎস্নার এই ধূসর হেমন্ত –
কেবলি এক নয়ন সুখকর দৃশ্যের জন্ম দেয় |
হেমন্ত আসে মল্লিকা আর রাজ অশোকের রঙে
কখনো ঝড়ে পড়া শিউলি ফুলের সকাল হয়ে
নিভৃতে নির্জনতায় হেমন্ত আসে এক উপলব্ধি হয়ে
হেমন্ত আসে ঝাউতলার সেই ছাতিম গাছের ডালে
নেই গ্রীষ্মের রূঢ়তা, নেই শীতের আড়ষ্টতা
এই হেমন্ত কেবলি এক অনির্বচনীয় অনুভবে জাগে |
ঠাসবুনটের এই ঊষর নগরে হেমন্তে আসে না
হেমন্ত নামে কার্তিকের হলুদ-সবুজাভ প্রান্তরে
নিজেকে হারিয়ে খোঁজার এই উর্বর সময়ে
ঘোর লাগা ঘ্রাণে হৈমন্তী সন্ধ্যা নামে শান্ত সারি নদীতে
হেমন্ত জেগে থাকে অঘ্রানের জলজ বাতাসে
এই বাতাস কানে এসে বলে যায় জীবন এক মিষ্টি পিপাসা |
এই হেমন্তে আনন্দ জাগে অন্তরের গভীরতম এক স্থানে;
সহজিয়া মনের প্রতিটি অলিন্দে অলিন্দে
অদ্ভুত আনন্দে জাগে এক বিষন্নতার মায়া
তাঁকে দেখা যায় না, তাঁকে ছোঁয়া যায় না
হেমন্তের এই ধূসরতা, এই নির্জনতা, এই বিষন্নতা
সন্তর্পণে কেবলি আমাকে বাঁধে সুখের অসুখে |
নারায়ণগঞ্জ ২০১০২২
Leave a Reply