কোথাও ভালো খবর নেই।
ফেসবুকজুড়ে মৃত্যুর খবর আর দোয়া কামনা।
পরিচিত অনেকের মৃত্যু সংবাদ পাই প্রতিদিন।
দেশে-প্রবাসে।
আমরা দ্বিতীয় সিলেট বলি লন্ডনকে।
আমাদের অগনিত স্বজনরা সেখানে থাকেন।উনারা ও মৃত্যু আর আতংকের ভেতর আছেন।স্বজনদের জন্য আমরাও উৎকন্ঠায় ।
আমাদের নিয়ে উনারাও ।
মধ্যে করোনা দুর্বল ছিল।
এখন আবার মৃত্যু আর সংক্রমণের ভয়াল থাবা বসিয়েছে।
বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে।
কারো মন ভাল নেই।
করোনার শুরুতেও এমন হয়েছিল।
ভয় আতংক আমাদের দেশেও কাজ করেছে।সবার কথা আর আচরণে পরিবর্তন ও এসেছিল।সবার মধ্যেই যেন কাজ করছিল এ যাত্রা বেঁচে গেলে জীবন হবে সহজ সরল।ভালোবাসাময়।
করোনা পরিস্থিতি একটু ভাল হবার পর সেই ভাবনাও হালকা হতে থাকে।যেন আগের রূপ ফিরে আসছিল।সবাই না। অনেকের ভেতর।
এই যে উদার হয়ে যাওয়া।জটিলতা থেকে দূরে থাকা।এসব ভাল পরিবর্তনটা হালকা হয়ে যাচ্ছিল।
আমরা সবার মাঝে পরিবর্তনটা ধরে রাখতে পারলে সবার জন্য ভাল । মানসিকভাবে ভাল থাকতাম।
সুখ থাকত।
মানুষে মানুষে অনেক সমস্যা শেষ হয়ে যেত।
সব কিছু হত মায়াময়।সুন্দর।
জীবনে এটার বড় প্রয়োজন।
প্রযুক্তির রাজপুত্র স্টিভ জবস মৃত্যু শয্যায় এই ভালবাসার জন্য আক্ষেপ করেছিলেন।বলেছিলেন পৃথিবীর সর্বত্র ভালোবাসা ছড়িয়ে আছে। খোঁজে নিতে হয়।
এবার আবার প্রবল ধাক্কা এসেছে।করোনা আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।আমাদের হয়ত আবার মনোজগতে পরিবর্তন আসবে। ভালবাসাময় শান্তির জীবন খোঁজ করবে সবাই।
নিশ্চয় মহামারী থেমে যাবে।হয়ত থামার আগে দুনিয়াজুড়ে অনেক মানুষ হারিয়ে যাবে।হারিয়ে যাবে অনেক স্বজন।হারিয়ে যেতে পারি অনেকে।
তবে এই বিশাল মৃত্যুর পরে নিশ্চয় পৃথিবী হবে মানুষে মানুষে ভালোবাসাময়।
কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের মত বলবে
“একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো-
দেখবে,নদীর ভিতরে মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পরছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে,লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো।”
শুভ সকাল।
Leave a Reply