সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই কে পাচ্ছেন নিয়োগ, তা চাকুরী প্রার্থীদের মধ্যে প্রকাশ পাওয়ায় তোপের মুখে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত নয়, বাতিল করল ডিজির প্রতিনিধি। এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ৬০ লাখ টাকা নিয়োগের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত নয়, বাতিলের খবর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাড়াশ উপজেলা সহ সিরাজগঞ্জ জেলায় সর্বত্র চলছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায়।
তথ্যানুসন্ধান ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, (১৪ অক্টোবর ২০২৩ইং) তারিখে তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত করা হয়। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তাড়াশ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি, তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা এর উপ পরিচালক (অর্থ) মো: আবুল বাসার, ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সাদিকুর ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান সহ নিয়োগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত হন। মাদ্রাসায় ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েই নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা প্রথমেই প্রশ্নপত্র তৈরী কম্পিউটার রুমে যান। প্রশ্নপত্র তৈরীর করার নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ব্যতিত ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার্থী ৪জনকে রেখেই প্রশ্নপত্র তৈরী করেন। পরীক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরীর করার সময় অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার্থী দেখে ফেলে প্রশ্নপত্র তৈরীর পর বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধিকে অবগত করেন অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা। এমনকি ৪টি পদে প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পাচ্ছেন ৪জনের নাম উল্লেখ করে ডিজির প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেন। ডিজির প্রতিনিধি তাক্ষণিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত নয়, বাতিল করে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি সহ সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে এমন পরিস্থিতিতে কেন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল না এবং স্থগিত নয়, বাতিল হল এমন প্রশ্নে তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সভাপতি তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, নিয়োগে কোন নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। কেন নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হল সে বিষেয়ে তিনি কোন কথা বলেনি।
তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার সাদিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারব না।
তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সভাপতি তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোন নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের আলোকে ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে চলে গেছেন।
ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা অধিদপ্তর, ঢাকা এর উপ পরিচালক (অর্থ) মো: আবুল বাসার, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের আলোকে নিয়োগ বাতিল করেছি। পরবর্তীতে নতুন করে এই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে হবে।
Leave a Reply