.
.
আমায় একটি কবিতা লিখতে দিও !
সকালে শিশিরে একটু হেটে যাব
শালিক আর লাল ফরিং দেখব
নদীর পারে
ওরা আমায় তাড়িয়ে দিবে
সমুদ্রের সীমানায়,
যেখানে সময়ের দীর্ঘ কফিনে নাচে
দূরন্ত উর্মিমালা।
শিশিরের আয়নায় সূর্য-খেলা দেখব বলে
পৃথিবীর চকোমকো ঠিকানা খুঁজে নিতে চেয়েছি
পিছনে চেয়ে দেখি ঠিকানা ঝুলে আছে,
আমি বেওয়ারিশ, দৃশ্যহীন মঞ্চ।
তুমি কি আসবে? খানিকটা সময় নিয়ে?
হাত ধরে নয়,
পাশাপাশি হেটে যাব, শুধু চোখ দুটোতে স্বাধীকার দৃষ্টি,
তোমার ইচ্ছে মতো যতদুর যেতে দাও, আমি বিনয়ী হবো।
আর, আমি একটি কবিতা লিখব,
ঘাসফুলের কবিতা,
না, না, ঘাসফুল নয়, শুধু ঘাসেদের কবিতা!
কেমন উৎসর্গ করে জীবন, পদ-পিষ্ঠে দৈনন্দিন নরক-বাস, তবু জীবনের গান,
ক্ষণে ক্ষণে জেগে উঠে।
যখন শহর থেকে বান আসে,
কেউ নেপথ্যে ওদের ফাঁসির আদেশ লিখে দেয়।
তখন সময় মিছেমিছি উদ্-ভ্রান্ত খেলা করে, আর
আমার রং-তুলি জলে ভেসে যায় :
আমার কবিতারা ঝাপ দেয় রক্তাক্ত জমিনে।
অতএব,
অনেক কিছু আমার আর লেখা হয় না!
জব্বর একখান কবিতা!!!