দরজার বাহিরে আমার আশৈশব অবস্থান।
অন্ধগলি হাতড়িয়ে দরজা পর্যন্ত পৌঁছে
আমি স্থানুবত দাঁড়িয়ে থাকতে ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
ভেতরে দুরন্ত ঘসেটি বেগম, জগৎশেঠ এবং
পঞ্চম কলামের রথী-মহারথীগণ।
অলঙ্ঘ্য দেয়াল।
এ দেয়ালের কান নেই।
কদাচিত কান গজালেও মুখ নেই,
নেই কন্ঠ নালী, নেই ভোকাল কর্ড।
দরজার ভেতরে নির্বাসিত
অথচ উচ্ছ্বসিত হুতুম পেঁচা মহোদয়গণ অপরিমিত শব্দ চয়নে
উর্ণনাভের জাল বুনে। বুনন শৈলী অনুপম।
আমি অপাংক্তেয় বাঘ শিকারী,
হাতের মুঠোয় দুর্ভেদ্য গভীর অরণ্য।
শিকারে আমার আকাশ ছোঁয়া সাফল্য।
বাঘ শিকারে সাফল্য গাঁথা আমার
——-একটি বাঘও বধ করতে না পারাই
আমার সাফল্যের দেদীপ্যমান সূচক।
নির্বাক, বেদনাহত, অরণ্যচারী আমি,
মেহনতের ঘাম উপচে উপচে পড়ে।
ঘামের নোনা জলে পায়ের মাটি সিক্ত।
আর আমি রিক্ত।
চোখের জল এবার কথা বল।
দুষ্পাঠ্য মন খোলা চোখে দেখে
চারপাশে আত্মখেকোজন।
আমার জীবনের মোহময় গল্পটির প্রতিটি মায়াবী শব্দ ধীরলয়ে মুছে যায়,
কাজী জিয়া উদ্দিন
Leave a Reply