বাংলাদেশের উচিতঃ শাংহাই কোঅপারেইশন অর্গেনাইজেইশনে যোগ দেওয়া
বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে শাংহাই কোঅপারেইশন অর্গেনাইজেইশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা। বিকাশমান বিশ্ব-পরিস্থিতিতে এটি খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
কারণ, রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বাধীনে ভারত ও পাকিস্তান-সহ আট জাতির এই সংস্থাটি বাংলাদেশকে তার প্রবল প্রতিবেশীর সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তত্ত্বগতভাবে সমান ফূটিংয়ে সহযোগিতা এবং প্রয়োজনে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্র ও সক্ষমতা দেবে।
অতীতে সার্ক গঠন করা হয়েছিলো যে-উদ্দেশে, তা ভেস্তে গিয়েছে বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারত কর্তৃক সার্ককে অকার্যকর করার মধ্য দিয়ে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র দেশগুলোর জন্য মোটেও ভালো নয়।
ভারত চায় তার চেয়ে দুর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে যে-কোনো ডিস্পিউট বাইলেটারলি বা দ্বিপাক্ষিকভবে নিরসন করতে। কারণ, এতে সে সহজেই নিজের পক্ষে যায় এমন শর্তে দুর্বল প্রতিবেশীকে সম্মত করাতে পারে, যা মাল্টিরেট্যারাল বা বহুপাক্ষিক সেটংয়ে এতোটা সম্ভব নয়।
সার্ককে অকার্যকর করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতা ছিলো দ্বিতীয়টির জন্য একটি অপরিণামদর্শী, হীন মানসিক ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অবশ্য, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে একটি অধীনতামূলক মিত্রতার মধ্যে সাগ্রাহ নিমজ্জিত ছিলেন, যা থেকে তিনি সম্ভবতঃ এখন বেরিয়ে আসতে চাইছেন।
যাহোক, শেখ হাসিনার উচিত হবে শুধু ব্রিকসে (BRICS) নয়, এসসিও-তেও (SCO) যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও কূটনীতির জন্য ইতিবাচক, যাকে আমি ইম্পার্যাটিভ বা অবশ্যই করণীয় বলে মনে করি।
০৩/৯৭/২০২৩
Leave a Reply