মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীতে নৈয়াদিঘিরপাড় গ্রামে ৩০ বছরের পুরোনো কড়ই গাছের নিচ থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় গাছ পরে বসতঘর ভেঙ্গে গেছ
গাছটির মালিক কুয়েত প্রবাসী মিরাজ মল্লিকের অভিযোগ,
উপজেলার যশলং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নৈদিঘিরপাড় এলাকার ওই
দিঘিতে মাছ চাষ করার সুবিধার্থে বাঁধ দিয়ে পানি পথ আটকে
দেয়ায় পানির চাপের তোড়ে বাঁধ ভেঙে ওই গাছের নিচ থেকে
মাটি সরে গিয়ে বসতঘর ভেঙে গেছে।
জানা যায়, গত ৭ জুন
(শুক্রবার) বিকাল ৫ টার দিকে গাছটি পূর্ব পাশে আবু তাহের মোল্লার বাড়ির উপর হেলে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে মিরাজ মল্লিক ক্ষতিপূরণ বাবদ
সালিশ-মীমাংসার মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে
৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
কিন্তু গাছ ভেঙে পড়ার কারণে ওই প্রবাসীর একটি টিনের ঘর ও
বিল্ডিং ঘর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কুয়েত প্রবাসী মিরাজ মল্লিক বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী হামিদ
পাইক নিজেদের সুবিধার জন্য দিঘিতে বাঁধ দেয়ায় মূলত গাছটি
ভেঙে পড়ে। তারপরও আমি যাদের ঘর ভেঙেছে তাদের
ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। কিন্তু যাদের কারনে গাছ ভেঙে পড়লো
তাদের কোন বিচার হলো না। উল্টো আমার ঘর দুটি ভাঙলে
এর দায় কে নেবে? তখন আমি কার কাছে বিচার চাইবো?’
বাঁধ দেয়ার কথা শিকার করে অভিযুক্ত হামিদ পাইক বলেন,
‘আমি দিঘিটি দেখাশুনা করি। মাছ চাষ করে হাজী রফিকুল ইসলাম শেখ, মোঃ হাসান মোল্লা, মোঃ রুয়েল খান তারা আমাকে বাঁধ দিতে বলেছে তাই দিয়েছি।’
Leave a Reply