ডেভেলপারের দাবী পুলিশি মদদেই চলছে এমন অপরাধ।
মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোড়ের ২২/৩ নং প্লট( সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বীপরিতে)
প্লটটিতে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের
জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত হয় মেট্রো হোমস ডেভেলপমেন্ট লি. নামীয়
একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
থেকে নির্মান অনুমোদন এবং নকশা অনুমোদন
করিয়ে প্লটটিতে নির্মান
কাজ শুরু করে কোম্পানিটি। কিন্তু, আব্দুল মুহিত ওরফে লেকু নামের প্লটটির একজন কো-শেয়ারারের লোভের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা প্রতিকূলতা ও শংকায় পতিত হয় কোম্পানিটি।
নিজের প্রাপ্য অংশ কোম্পানির কাছে বিক্রয় করার পরও বার-বার অবৈধ সুবিধা দাবী করে আসছে
আব্দুল মুহিত ওরফে লেকু। অবৈধ দাবী পূরণ না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে
উক্ত প্রকল্পে একাধিকবার হামলা ও লুটপাট চালানোর অভিযোগও আছে তার নামে।
এমন পরিস্থিতিতে বিবদমান পক্ষগণের
মধ্যে ঢাকার আরবিট্রাল
ট্রাইব্যুনালে একটি আরবিট্রেশন মামলার উদ্ভব হলে অই মামলায়
বিচারপতিরা ভূমি-মালিকগণকে
আর্থিক জরিমানা করার
পাশাপাশি প্লটটির দখল ডেভেলপারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ প্রদান করে।
আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের
আদেশ অমান্য করায়
ডেভেলপার কোম্পানিটি
জেলা জজ আদালত, ঢাকায় একটি মানি ডিক্রিজারি মামলা দায়ের করে। মামলাটি চলমান থাকার এক পর্যায়ে জেলা
জজ আদালত,ঢাকা একটি আদেশের মাধ্যমে তর্কিত প্লটটি আদালতের অনুকূলে ক্রোকাবদ্ধ করে।
আব্দুল মুহিত গং জেলা জজ আদলতের ক্রোকাবদ্ধ আদেশের কোনোরূপ তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে প্লটটিতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাটি কাটার
মেশিন ( এস্কেভেটর) ঢুকিয়ে শত শত ট্রাক মাটি কেটে রাতের আঁধারে অন্যত্র নিয়ে যায় বলে ডেভেলপার সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে ডেভেলপার কোম্পানিটি মোহাম্মদপুর
থানার দারস্থ হলে থানাপুলিশ রহস্যজনকভাবে এ
বিষয়ে একটি জিডিও গ্রহণ করে নি বলে কোম্পানিটি অত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছে।
পুলিশের এমন রহস্যজনক আচরণে সংশ্লিষ্ট মহলে নানান প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিগত ১৭/১/২০২৪ ইং তারিখে
জেলা জজ আদালত, ঢাকা তর্কিত প্লটটির বিষয়ে একটি Status- quo আদেশ জারি করে ভূমি মালিকদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে।
অচিরেই প্রশাসন/ থানা পুলিশ কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ
হবে বলে ডেভেলপারসহ
সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।
Leave a Reply