হঠাৎ নিরুদ্দেশ
“””””””””””””””””””””””””””””””””””
পথটা চেনা ছিলো না। অথচ—
হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে
(হাতের মুঠোয় জীবন ঘষে)
বেলা যখন গড়িয়ে পড়েছে শেওলা-জমা দিঘির পাড়ে
আমি তখন ক্লান্ত, খুব ক্লান্ত।
তখন
মেঘের কোলে অশ্রু লুকিয়ে
হটাৎ ভিজিয়ে দিলো আমায়
এক পশলা বৃষ্টি এসে।
দিগন্তের হেলে পড়া রংধনুর মতো মুহূর্তে সকল ক্লান্তি
ভুলে গিয়ে ভেজা ভেজা
শরীরে এসে দাঁড়ালাম তার মুখোমুখি।
সে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল আমায়
আকাশের গায়ে হিজিবিজি কিছু ছবি এঁকে—
‘তুমি শুধু আমার, আমি তোমার।’
তারপর
কেউ আর আমায় খুঁজে পায়নি।
আমি বনানী হয়েছিলাম;
তার গুল্মলতা খুব পছন্দ ছিলো বলে।
আমি ঢেউয়ে হেঁটেছিলাম আমৃত্যু পথ,
কারণ তার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আমার স্পন্দনের স্রোত
খেলা করে।
আমি বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিলাম
কোন এক বিকেলের ভিড়ে
কেননা তার উঠোনে খেলা করতো মেঘকন্যার গল্প।
আমি ভ্রমর হয়ে ঘুরতাম—
পাহাড়ে, পাহাড়ে
কারণ তার ফুল খুব পছন্দ ছিলো।
এরপর থেকে নিরুদ্দেশ।
সকলের হাপিত্যেশ;
আমাকে আর কেউ খুঁজে পায়নি।
আমাকে আর কেউ খুঁজে পায়নি।
----------
~নির্মলকুমার রায়
ডাকবাংলো, তেতুলিয়া, পঞ্চগড়।
Leave a Reply