চল্লিশে মাঝে মাঝে
শোনা যায় ,ওপারের ডাক
ঝিকি মিকি উঁকি মারে চুলেদের পাক ,
আয়নাটা বেঈমান ,ভীষনই বেয়াড়া
নিষ্ঠুর হাতে আঁকে এ কেমন চেহারা!
মায়াময় চাহনিটা বেমালুম ভুলে
কালিময় ছাপ ফেলে চোখেরই কোলে ।
টোল ফেলা হাসি খানা রোজকার বিষে
সংসার যাতাকলে হাওয়ায় যে মিশে।
চল্লিশ ভারী বেশি , সের এ সেরে বাড়ে তাই
দু” বেলা নিয়ম করে ভাত টুকু মেপে খাই,
চল্লিশে চিনি বেশি , রক্তের উচু চাপ
দুইবেলা হাঁটা হাটি আর চাই দৌড় ঝাপ।
চল্লিশ বড় বিষ , সংসার যাতনা
খিটি মিটি খুনসুটি আর প্রাণে সয়না।
সংসার , সন্তান কি ভীষণ দায় যে
দম্পতির জান যায় , এই ভার টানতে।
চল্লিশে শুরু হতে পারে নতুন কোন অধ্যায়
হয়ত বা নিয়তির হাতে লেখা বিস্ময়।
চল্লিশে হেরা গূহায় এলো কোন বার্তা
চল্লিশে গৃহত্যাজে সে কেমন বুদ্ধ!
চল্লিশে জেগে ওঠে বোধ এবং বোধিরা
চল্লিশে প্রাণ পায় আমার আমিরা।
জীবনের মাঝবেলা একটু কেশে
হিসেব নিকেশ সব মেলে চল্লিশে।
০৩/১২/২০২২
Leave a Reply