তারিখ : ২২ আগস্ট,২০২৪ / ০৭ ভাদ্র, ১৪৩১
‘ক্ষমতার ইতিহাস বড় নির্মম। ক্ষমতায় পেলে মানুষ ভুলে যায় ইতিহাসের কথা। কাউকেই ভুলে গেলে চলবে না ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষণস্থায়ী। বর্তমান রাজনৈতিক শূণ্যতা পূরণে শফিকুল গানি স্বপনের মত মেধাবী রাজনীতিকদের প্রয়োজনীয়তা জাতি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। মনে রাখতে হবে ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের পর কর্তৃত্ববাদী দখলদারত্বের পুরনো রাজনীতিতে আর ফিরে যাওয়ার আর কোন সুযোগ নাই” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান শফিকুল গানি স্বপনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে শফিকুল গানি স্বপন ছিলেন আপসহীন। শফিকুল গানি স্বপন রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে দেখেননি। মওলানা ভাসানীর আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ন্যাপ পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মেধাবী রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম আগামীতেও দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘বহু সময় ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে। জনগনের দাবি ও ভাষা বোঝে এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি খুঁজছে সাধারণ মানুষ। দু:খজনক হলেও সত্য যে, শাসকগোষ্টি দেশ শাসন করতে চায় কিন্তু জনগনের ভাষা বুঝতে পারে না। ফলে তাদের পতন হয় নির্মমভাবে। সবাই ব্যাস্ত হয়ে থাকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, পরিনতি ভোগ করতে হয় নির্মম। যার ফলে জনগনের নেতা আজ খুজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দারিয়েছে।’
২৩ আগস্ট ন্যাপ চেয়ারম্যান শফিকুল গাণি স্বপনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
আগামীকাল ২৩ আগষ্ট, ২০২৪ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক উত্তরসূরী, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া‘র জেষ্ঠ্যপুত্র, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা শফিকুল গাণি স্বপনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
বহু প্রতিভা ও মেধাশক্তির অধিকারী প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষ, সংগ্রামী ও মেধাবী রাজনীতিক জননেতা শফিকুল গাণি স্বপন ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রংপুর জেলার আজকের নীলফামারী জেলার সদরে এদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ঔরষে জন্ম গ্রহন করেন। মা হচ্ছেন মরহুমা সাবেরা রহমান (ছবি)।
১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মশিউর রহমান যাদু মিয়া মৃত্যুবরণ করলে শফিকুল গাণি স্বপন রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সরাসরি আর্বিভূত হন। পিতার মৃত্যুর পর শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর সদর ও নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, বেসামরিক ও বিমান পর্যটন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সাংবাদিক হিসাবেও তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী। বাংলা ও ইংরেজী ভাষার অসাধারন দখল থাকার কারনে তিনি বাংলা ও ইংরেজী সংবাদপত্রের জগতে সাপ্তাহিক বঙ্গব্যাপী ও ওইকলি ফ্রাইডে প্রকাশ করেছিলেন। যা অল্প সময়ে পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল। ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-এর গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে ক্লাবকে সুসংগঠিত ও তাঁর ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তিনি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেষ মুহুর্তেও দেশপ্রেমিক শক্তির বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের আকাংখা নিয়ে পুঞ্জিভুত দুঃখকষ্ট নিয়েই ২০০৯ সালের ২৩ আগষ্ট আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যান তিনি।
কর্মসূচী :- জননেতা শফিকুল গাণি স্বপনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ ন্যাপ’র বিভিন্ন শাখা কমিটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অন্যদিকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সুন্দরখাতা স্বপন মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ করা হবে।
Leave a Reply