বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
মোঃ নজরুল ইসলাম
কওছেন দ্যেহি মামু –
বাইরে ঘরম,ঘরে গরম,কোম্মে এহন যামু!
বাজারে আইয়া ঘুরা দিয়া থাইম্মা গ্যেলাম ওরে
প্যাঁজ-রোন্দের দামডা হুইন্না ক্যেবল মাতা ঘোরে!
চাউলের দাম,আলুর দাম,গোশতের দাম হুইন্না
টিনের মধ্যে পাম ত্যেলহানি আচুক্কা যায় উইন্না।
গরীবের আট-বাজার না,ধনীর লইগ্যা বাজার
দোহানে ঘোরতে ঘোরতে খাইতে থাহি আছাড়!
হাজার টাহা খাসির গোশত,ভেজাল দেওয়া উরুম
পাঁচশো টাহা হুগনা মরিচ,সবাইর মাতা ঘরম।
ইলশা কেউ পালে নাতো হের পরও কি দাম?
দামের কথা ডিঙ্গাইলেও গাইদ্দা ছোডে ঘাম!
বারোশো টাহা জিরার কেজি ওরে মোর আল্লা
নিত্যই দেহি”পাগলা ঘোড়া”দৌড়ে দেছে পাল্লা!
মশল্লার দোহানে ঘুইরা আইছি নাহে লাগজে ঘ্রাণ
জোলায় ধরলে,দরজা দেলে,পামু কি মুই ত্রান?
গোশত হইতে শুরু কইরা পথের পাশের হাগে
ত্যেল-নুন-পেঁয়াজ মশলাদী,কমবেশিই লাাগে!
সাবান আর দাঁতের মাজন কেনলাম এ্যট্টু আগে
ধনী-গরিব হগলডির ঘরে এ্যক আধটু লাগে।
আডেগোনে বার্তে গ্যেলে মাইয়া লোকের ঝাড়ি
হস্তা পাইয়া কিন্না আনছো পঁচা তরিতরকারি?
“মিথ্যা কওয়া মহাপাপ “জানি হেই কথাডা-
আণ্ডার কুড়ি তিনশো টাহা মাতায় পরে ঠাঁডা!
আর্কিমিডিসের সূত্র আছে বস্তু ঊর্ধ্ব গতি অইলে
ধপাস কইরা কাদায় পরে গাছগাছালির তলে!
পাগলা ঘোড়া লাফাইয়া উরফে যদি ওঠে
ঠ্যং ভাইঙ্গা ছ্যঁচড়া খাইয়া নামে না যে মোডে!!
বরিশাল
১২/৮/২৩
(কপিরাইট সংরক্ষিত)
Leave a Reply