======অজানা ভয়======
ছোটবেলায় বাড়ীর উঁচু নারিকেল গাছে,
তুলে দিতেন মা, ভয় ছিলোনা পড়ি পাছে।
হুরহুর করে উঠে যেতাম বানরের মতো,
নারিকেল মাটিতে, গাছে ছিলো সব যতো।
বিন্দুমাত্র সংশয় ছিলোনা মায়ের দেয়া আদেশে,
বিশ্বাস ছিলো খোকাটা তার পারবেই নিমিষে।
মায়ের কথায় ছুটে যেতাম দূর-দূরান্তরে,
সাঁঝেরবেলায় মাছ ঢালিতাম মায়ের পরে।
বিলে জমানো পানি ধান গাছের ফাঁকেফাঁকে
কিলবিল করতো ছোটবড় মাছ ঝাঁকেঝাঁকে।
মাছ ধরে লুঙ্গী ভরে ছুটিতাম মায়ের পানে,
দিগম্বর বপু, ছেড়া গেঞ্জি বাঁধা লজ্জাস্থানে।
ছেলে আমার এনেছে মাছ ভরেছে পুরো ঝুড়ি,
মাছ পেয়ে মা খোশমেজাজে চড়াতেন হাঁড়ি।
কেমন এক বিশ্বাস অবুঝ কচি সন্তানের প্রতি,
সারাদিন চোখ সীমানায় নেই, নেই কোন ভীতি।
পালটিয়েছে সময়, সন্তানেরা মোদের বন্দী,
কিছুক্ষণ না দেখাতে কাঁপে শরীরের গ্রন্থি।
না ছাড়া হ্যাঁ বলতে পারিনে ছেলের আবদারে,
বুক কাঁপে যাবার কথায়, যদি’না বিপদে পড়ে!
কেন এ পরিবর্তন, কেন এতো অজানা ভয়,
বাস্তবতায় এ’যে সামাজিক নির্মম অবক্ষয়।
🖊 …জাহিদ চৌধুরী
খুলশী, চট্টগ্রাম।
জুলাই ০৬, ২০২৩
Leave a Reply