অসভ্য ব্রহ্মাণ্ডে
আব্দুল্লাহ আল ফারুক মুরাদ
তোমার ভেতরের দহন
কোনো জলেই নিভে না।
তোমার ভেতরে ঘটে চলা
প্রবঞ্চনা গঞ্জনায় কুঁড়ে খায়।
তোমার অব্যক্ত কষ্ট গুলো
ফুসফুসে জং ধরায়।
তোমার চোখের ব্যাকুলতা অপমান
ঐ অসীম আকাশ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
তাতে কি?
এতে কারো যায় আসে!
কিছুই হয় না বরং তুমি
দল ছুট নক্ষত্র এই অলিক পরিমণ্ডলে।
তোমায় যারা চোখ রাঙিয়ে
অকথ্য গালি গালাজে মগজটাকে
থেথলিয়ে দিলো তাদের বিচার পেয়েছো?
পাবে না,
কারণ ওরা বীভৎস গিরগিটি রক্তচোষা;
বঞ্চিত করে অন্যের হক নষ্ট করে।
শুনেছি কাউকে কষ্টের কথা বলতে নেই
তাতে নাকি কষ্ট গুলো হালকা হয়ে যায়
কোন এক সময় ঐ আকাশে উড়েও যায়।
তবে তাই হোক__
আমার অব্যক্ত কষ্টগুলো
নীল আকাশকে দিতে চাই
ওর বিশালতা হয়তো কিছুটা পরিত্রাণ দিবে আমায়।
নয়তো আকাশকে বলে দেব
আমি তোর কেউ না…
আমাকে যেন তোর কান্না গুলো
বৃষ্টি হয়ে ঝরতে না দেখি।
সবারি হয়তো কিছু কষ্ট থাকে
কিন্তু আমার কষ্ট তাড়া করে বেড়ায়
শকুন হয়ে…
দুদন্ড স্থির রইতে পারি না
ঘুরে ফিরে ক্লান্ত..
সেই অযাচিত অপমানে।
আমি হয়তো কোনো এক সময়
চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবো
নয়তো সব ক্ষোভে ঢ়েলে দেব
এই অসভ্য ব্রহ্মাণ্ডে।।
Leave a Reply