সেলিম খান সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাদিয়ালীর সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের সময়ে রাস্তার পাশে কিছু আম গাছ লাগানো হয়। ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী এই গাছের মালিক সরকার এর ফল বিক্রি টাকা ভাগ পাবে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক, তত্ত্বাবধনকারী এবং ইউনিয়ন পরিষদ।
কিন্তু এই বছরের সরকারি গাছের আম সব গেলো কোথায়? সরজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে আম গাছ ফাঁকা স্থানীয় মানুষ বলছে আম পেরেছে মেম্বার সাঈদুল ইসলাম। আম গাছ থেকে গোপালভোগ জাতের আম মেম্বর নিজে পেরে বাজারে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় অনেকেই বলেছেন তাদের জমির পাশে এই গাছ কিন্তু তার কোন টাকা পাইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, মেম্বার সাঈদুল ইসলামের ক্ষমতা বলে সেই এই কাজ করেছে। এর আগেও অনেক মেম্বার চেয়ারম্যান ছিলো এমনটা করেনি তবে মেম্বর নিজের ক্ষমতা বলে এমনটা করেন।এলাকা মানুষ আরো বলেন এলাকায় তার রয়েছে কিছু উগ্র বাহিনী মেম্বরের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে মারা ধরাও করা হয়।
সরজমিনে দেখা গিয়েছে একজন প্রতিবন্ধীর কৃষকের জমির পাশে পাঁচটা গাছ তাকে এক টাকা বা আম দেওয়া হয়নি।আবার যাদের ক্ষমতা,লোকবল আছে তাদের মধ্যে কাউকে ১০০০,২০০০ টাকা দিয়েছে এই মেম্বার সাহেব।
সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেওয়ায় হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে রাজু নামে এক ছাত্র ও তার বাবাকে।
এবিষয়ে মুঠোফোনে মেম্বর সাঈদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গাছে আমে যারা স্প্রে করেছে তারা তাদের খরচটি নিয়ে,বাকিটাকা ইউনিয়নে জমা দেওয়া হয়েছে। গাছ মালিকের টাকা না দেওয়া এবং কম দেওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আম কত টাকার হয়েছে যে তাদের টাকা দেব। কয়েকটি গাছ থুয়ে এসেছি।
মেম্বর সাঈদুল ইসলামের দ্বাবি সম্পন্ন মিথ্যা বলে প্রমাণ হয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলালের কথায় তিনি বলেন, ইউনিয়ন এখনও এক টাকা পাইনি তবে মেম্বর সাহেব এর সাথে কথা বলা আছে।
Leave a Reply