নাঈমুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নে ০৭ নং ওয়ার্ডের হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল ও ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ এপ্রিল রাত ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রফুল্ল রায়ের পুত্র প্রশান্ত রায়ের কাঠের ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রশান্ত রায়। হিন্দু পরিবারের উপর হামলা সহ বাড়ি ঘর উচ্ছেদের ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দু পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে হয়রানি ও জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার পুলিশে কর্মরত এক এএসআই সহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল ও ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচারের দাবি। রাঙাবালি থানায় কর্মরত এএসআই আব্বাসের বিরুদ্ধে দাখিল পরীক্ষার্থী জুনায়েদকে মারধরের অভিযোগ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ ও আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের হিন্দুদের জমি জমা দখল ও ঘর পোরানোর পিছনে এএসআই আব্বাসের ইন্ধন রয়েছে।
ভুক্তভোগী সতীশ রায় জানান, আমাদের জমি থেকে আমাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে তারা। তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। এই বাজারের পাশে আমরা তিন হিন্দু পরিবার রয়েছি তাই তারা আমাদের সংখ্যায় কম দেখে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা ও আমাদের উপর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে যাতে জমি ছেড়ে আমরা চলে যাই।
একই এলাকার মৃতু বারেক হাওলাদার ছেলে, পুলিশের এএসআই আব্বাস হাং (৪৫), মিজান হাং (৪০), আমিনুর হাং (৩৫), ফোরকান হাং (৫৫)। মৃতু আমির আলি সিকদারের ছেলে, আল-আমিন সিকদার (৫০), মগবুল (৫৫), মনজু সিকদার (৫৩), মতি সিকদার (৫৭)। মৃত্যু তাঁরা মিয়ার ছেলে, মামুন সিকদার (৪০)। জমি জোরপূর্বক জবরদখলের চেষ্টা চালায় একই এলাকার প্রভাবশালী মহল।
ভুক্তভোগী প্রফুল্ল রায় বলেন, আমাদের গ্রামের প্রভাবশালী মুসলমান প্রতিপক্ষরা আমাদের জমি জোড়পূর্বক দখলে নিতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করতে থাকে। স্থানীয় একাধিক শালিস ব্যবস্থায় আমাদের পক্ষে রায় পেলেও প্রতিপক্ষ আব্বাস গং প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদেরকে হয়রানী করে আসছে।
একাধিক স্থানীয়রা বলেন, প্রফুল্ল রায়, সতীশ রায়, অনিমা রানী, সোনা রানী, সমীর রায়, সুদন রায় এদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোরজবস্তি করে দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয়, আব্বাস হাং, মিজান হাং, আমিনুর হাং, ফোরকান হাং, আলামিন সিকদার, মগবুল, মনজু সিকদার, মতি সিকদার, মামুন সিকদার। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কর্মকর্তার ইন্দনে তাদের হয়রানি করে আসছে, ভুক্তভোগী পরিবার রাতের বেলায় ঘরে থাকতে পারেনা, মহিলা ঘরে ভয়ে ভয়ে দিন কাটায়। এখন ভুয়া দলিল পত্র বানিয়ে তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। তারা হিন্দু পরিবার সংখ্যায় কম এ কারণে তাদের উপর এই বর্বর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন।
উক্ত বিষয়ে পুলিশের এএসআই আব্বাসের ব্যাবহারিত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে কোন সারা পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রনজিত কুমার সরকার বলেন, একটা সমস্যা ছিল আমরা সমাধান করে দিয়ে আসছি বর্তমানে আর কোন সমস্যা নাই
Leave a Reply