সময় নাকি জীবনের মূল্য … কোনটা বেশী …?
এদের সবার বয়স ১৪ থেকে ৪০ এর মধ্যে …
কত অল্প বয়সে শরীরের একটা অংশের সক্ষমতা হারাল ?
রাস্তায় এমন কোন বাহন নাই ,
যাতে মেশিন লাগানো নাই
সাইকেল , রিক্সা ,ভ্যান ,অটো ,সিএনজি ,মাহেন্দ্র
যার চালকদের কারোরই
মেশিন সম্পর্কে কোন ন্যূনতম জ্ঞান বুদ্ধি নাই
আর ট্রাফিক আইন তো জানা
এদের জন্য ভাবনারও বাইরে ।
আর কতৃপক্ষের যেন কোন দায় নেই ।
ফলশ্রুতি অকালে পঙ্গুত্ব বরন ।
এক একটা রাস্তা যেন মৃত্যুপুরী,
কে শোনে কার কথা
আর এভাবেই একটা প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে
যারা পঙ্গুত্ব কিংবা শারিরীক অক্ষমতা নিয়ে
নিজের সমাজের এবং পরিবারের বোঝা হয়ে যাচ্ছে ।
আর মটর সাইকেল তারা তো
বাংলার সব রাস্তা দখল করে নিয়েছে …
তারা হেলমেট পরেই মনে করে যেন
শরীরে আর কোন অংগ নাই …
স্রেফ উড়াল দেয় , ধৈর্য বা জীবনের মায়া যেন কায়া ।
মেশিন বাকী আছে শুধু
পা এবং নিতম্বে লাগানো ,
আমরা কেউই একটু হাটতে চাই না
দুয়ার থেকে মেশিন গাড়িতে উঠব
দুয়ারে এসে মেশিন গাড়িতে নামব ….
আহারে ,
ধীরে ধীরে সবাই OBESITY নামক
রোগে আক্রান্ত হচ্ছি
আর ওষুধ খাচ্ছি এবং শেষ বয়সে
, যখন সব কন্ট্রোলের বাইরে তখন প্রচুর হাঁটছি।
না হাঁটার কারনে Muscle development or Bone development ঠিকমত হয় না ।
হাত পা কামড়ায়, অবশ অবশ লাগে এবং
হাড়ের শক্তি ঠিকমত হয় না …
যার জন্য অল্প trauma তেই হাত পা ভেংগে যাচ্ছে ,
অল্প বয়সেই কোমড় ব্যথায় ভুগছি….
আর সকালের রোদ বা সূর্য দেখাতো
আমরা ভুলেই গেছি
উল্টা ফর্সা হওয়া বা থাকার তাগিদে
সানস্ক্রীন মেখে রোদে বের হই ,
অথচ এই রোদেই থাকে VITAMIN D3
যা কিনা হাড় গঠনে এবং ক্ষয়রোধে খুবই দরকার ।
মেশিন থাকলে মেশিনের ট্রেনিং নিতে হবে
বাস , ট্রাক এবং মটর সাইকেল ড্রাইভারদের
বেপরোয়া গতি কমিয়ে
যথাযথ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে
প্রচুর হাঁটতে হবে
সকালের রোদ শরীরে লাগাতে হবে
কোন তরুন যেন এভাবে accident করে
নিজের এবং পরিবারের বোঝা না হয়
সেদিকে আমাদের সবার সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে
… মনে রাখবেন কাল যে আপনার পালা নয়
তার নিশ্চয়তা কে দিবে ?
গতকাল এদের অপারেশন করেছি
সবাই ভাল আছে
কিন্তু শরীরের আর এই মনের ক্ষত
কি কখনই যাবে এদের
ভাল থাকুক প্রতিটা মানুষ
ভাল থাকুক আমাদের আগামী প্রজন্ম ।
ডা সুদীপ হালদার
সিনিয়র কনসালটেন্ট
অর্থোপেডিকস্।
Leave a Reply