ভাবতে না চাইলেও হঠাৎই মনের পর্দায় ভেসে উঠে মাতৃ স্মৃতি। ১৩ ৮২ বাংলার ১৪ ই পৌষ গত হয়েছেন মা। প্রায় চারযুগ কেটে গেছে। অথচ আজ ভোরবেলা মা আমার মনের পর্দায় আবারো দারুন ভাবে ভেসে উঠলেন। প্রিয় পাঠক, সদয় সহানুভূতিতে একটু পড়ে দেখুন–
আমি বেঁচে আছি
লেখা ২৬/০৫/২০২৩,
সকাল: ৬-৩০মি:
যাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি এ জীবনে
অথচ তিনি স্বেচ্ছায় তাঁর সর্বস্ব দিয়ে গেলেন
উজাড় করে আমাকে অকপটে অযাচিতভাবে।
হৃদয়ের সর্বোচ্চ স্নেহ, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
অপরিমেয় ত্যাগ,মমতা ভরা পরম আশীর্বাদ
নিজেকে নিঃস্ব করে আমাকে দিয়ে গেলেন সব!
তাঁর সমস্ত কামনা বাসনা ছিলো আমাকে ঘিরেই
আমাকে ঘিরেই বুনেছিলেন কিছু স্বপ্নের জাল,
আমাকে ঘিরেই মনের আকাশে ওড়াতেন কিছু ঘুড়ি,
তাঁর ছোট্ট পৃথিবীতে চাষ করেছিলেন কিছু প্রজাপতির
হৃদ- কানন সাজিয়েছিলেন কিছু অদৃশ্য সুন্দর ফুলে,
আমাকে ঘিরেই সব আয়োজন,সব আমাকে ঘিরেই!
তাঁর স্বপ্নের জাল দিয়ে আমিও আজ স্বপ্ন বুনি,
তাঁর মনের আকাশের ঘুড়ি আমি ওড়াই আনন্দে,
তাঁর সৃষ্ট প্রজাপতিরা আমার মনে রঙিন ডানা মেলে
তাঁর মনের কাননের ফুলগুলো সারা বছর অলক্ষে
সুবাস ছড়ায় বারে বারে, আমার হৃদয়ের চারিধারে
তাঁর আশা, ভালবাসা ও স্বপ্নের ঋণে আমি বেঁচে আছি।
মুদিত চোখেই আমি তাঁর সমস্ত আয়োজন দেখতে পাই
আকুল চিত ব্যাকুল হয়,শুধু তিনি নাই আজ তিনি নাই!
—————–
Leave a Reply