পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জিরবাড়ি গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৮) মেয়েকে ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হোসেন এর বিরুদ্ধে গত (১২ জানুয়ারী) শুক্রবার নেছারাবাদ থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছে মেয়ের বাবা। উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের জিরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর দাবি তাকে ধর্ষন করেছে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা জানান, জাহাঙ্গীর আমাদের বাসায় প্রায় সময়ই আসা যাওয়া করতো। কখনো তেমন কিছু চোখে পড়ে নাই। একদিন আমরা বাসায় কেউ ছিলাম না শুধু মেয়ে ছাড়া। আমরা না থাকার সুযোগ নিয়েছে জাহাঙ্গীর। আমি আমার কাজে গিয়েছিলাম এবং ওর মা পাশের বাড়ি খাবার পানি আনতে গিয়েছিলো ঐ সময়টায় আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে জাহাঙ্গীর। ডাক্তার বলেছে আমার মেয়ে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, কাঠি দিয়ে টেস্ট করার পরে জানা গেছে মেয়ে প্রেগন্যান্ট। যখন আমি জানতে পারলাম মেয়ে প্রেগনেন্ট। তখন মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই এবং পরীক্ষা করেও তার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এখন ওর গর্ভের বয়স ৬ মাস। এর পূর্বে মেয়ে আমার প্রায় সময় অসুস্থ থাকতো অনেক বার স্থানীয় ডাক্তার দেখাইছি রিপোর্টে দেখে ডাক্তার বলে পিত্তে পাথর আছে অপারেশন করতে হবে। পরে আমি মেয়েকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভালো একজন ভালো ডাক্তার দেখালাম। তখন ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললো পিত্তে পাথর নাই। তখন আমি বিষয়টি এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বারকে অবহিত করি এবং তার পরামর্শে থানায় গিয়ে জাহাঙ্গীর এর নামে মামলা করি৷ আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল বলেন, জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঢাকা কেরানিগঞ্জে। কাজের সুবাদে সে এখানে আসে এবং বিয়ে করে এখানেই বসবাস শুরু করে। ঢাকা কেরানীগঞ্জে তার একাধিক বৌ রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। নির্বাচনের পরের দিন মেয়ের বাবা আমাকে এই ঘটনা খুলে বলে। তখন আমি জাহাঙ্গীরকে ডেকে জিগ্যেস করি প্রথমে সে অস্বীকার করে। জাহাঙ্গীর যখন বলে কত মাস প্রেগন্যান্ট? তখন আমার সন্দেহ হয়।তখন আমি ওকে থানার কথা বলি তখন সব স্বীকার করে এবং স্থানীয় মজিবর প্রফেসরের কাছে সব কিছু স্বীকার করে বলেন, আমাকে বাঁচান আমি ভুল করেছি। সু-চতুর জাহাঙ্গীর ঐ রাত্রেই আত্মগোপন করে। তার পর থেকে আর তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি মেয়ের বাবাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। সে থানায় গিয়ে জাহাঙ্গীরের নামে মামলা দিয়েছে৷
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply