রবীন্দ্রনাথের অমর ছোট গল্প :জীবিত ও মৃত।গল্পের মধ্যে অতিলৌকিক রহস্য আছে।গল্পটি সবাই পড়ুক আর না পড়ুক গল্পের একটি লাইন মানুষের মুখে মুখে। গল্পের মুল চরিত্র কাদম্বিনী। তিনি রানীহাটের জমিদার শারদাশংকর বাবুর বাড়ীর বিধবা বধু।একদিন কাদম্বিনী কে মৃত ভেবে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল।চারজন ব্রাম্মনকে দাহ করার দায়িত্ব দিলেন জমিদার।শ্নশানে কাদম্বিনী কে রেখে কাঠ আনার বিষয়ে দুজন গেলেন।দুজন থেকে গেলেন অন্ধকার শ্নশানে ।একসময় দুজন তার পাশ ফেরা আর দীর্ঘশ্বাসের শব্দে ভয় পেলেন।এ দুজনও শ্নশান থেকে চলে গেলেন।পরে চারজন এসে দেখেন কাদম্বিনী শ্নশানে নেই।তারা জমিদার বাড়ীতে গিয়ে প্রচার করলেন দাহ করে এসেছেন।বাড়ীর সবার কাছে কাদম্বিনী মৃত হয়ে গেলেন।
কাদম্বিনী মধ্যখানে অন্য বাড়ীতে কিছুদিন থাকলেন।অবশেষে ফিরে এলেন জমিদার বাড়ীতে।কিন্তু বাড়ীর মানুষ কাদম্বিনীকে জীবিত মানেনা।তাকে ভুত বলে বিশ্বাস করে।কাদম্বিনী চিৎকার করে বললো,
“আমি মরিনি।আমি বেঁচে আছি।এই দেখো আমি বেঁচে আছি।”
কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনা।এবার মনের কস্টে কাদম্বিনী আত্নহত্যা করলেন।
রবীন্দ্রনাথ লিখলেন,
“কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই।”
এই কথাটি মানুষের মুখে মুখে ফিরে।বাস্তব জীবনে অনেক ঘটনায় এ কথা মানুষ ব্যবহার করে।এ কয়েকটি শব্দ গল্পটিকে অমরত্ব দিয়েছে।ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
১৯.০১.২০
Leave a Reply