তারপর একদিন আমি বড় হয়ে গেলাম।
আমার স্বর পাল্টাতে লাগলো,
দৃষ্টিতে বৈচিত্র ভর করল, দারুন করে,
বেলি, গন্ধরাজ ফুল’গুলো-
ঠিক নিজের দখলের জন্য নয়!
কাউকে দেয়াই যেন উপযুক্ত হয়।
প্রবলভাবে আমি বুঝতে থাকলাম,
আমি এক প্রচন্ড পুরুষ।
আমার গোঁফ বলছে, আমার দাড়ি’র বেয়াড়াপনা-
জোর দিয়ে জানান দিচ্ছে,
আমি এক কঠিন পুরুষ।
মাথার ভিতরে ভাবনা’রা খেলছে,
সব নারী মা নয়, কিছু অন্য;
সব মেয়ে বোন নয়, কিছু অনন্য;
সবাই’কে তুই বা আপনি বলা যায় না যে-
কাউকে যে তুমি করে বলতে হয়।
আমার ভিতরে আরেক আমি জাগছে,
তাকে তুচ্ছ করে ডাকা যায় না;
এমনি করে সে কোলে উঠতে চায় না;
বিদ্যুৎ এসে গেছে মাথায়, সঞ্চালনে,
তার হাত, হাতের পৃষ্ঠ, যেন প্লাগ…
ক্লিক করে উঠে তো সে-
খেলে যায় কতকিছু নিউরনে,
সকেট’রা আগে-পিছে হাঁটে, চলে, হাসে আর কথা কয়,
প্রবল-কঠিন-বেয়াড়া পুরুষ আজ কেন এতো নরম হয়!
Leave a Reply