বদলের সাতকাহন
নূপুরের মতো নয়, হৃদপিণ্ডের ধক ধক
শব্দের মতোও নয়,
মৃত্যুদন্ড শোনাবার বাঁশির মতো
বড়ো বেরহম শব্দে বুকের ভেতর বেজে উঠে
তোমার নির্দয় কথাগুলো।
এই ঠোঁট, সেই ঠোট নয়
এই চোখ সেই চোখ নয়, এই মুখ, মুখের ভঙ্গি
কিংবা জোর করে হাসবার চেষ্টা,
কোনকিছুই আর আগের মতো নেই।
এখন অকারণ কথাগুলো বাক্সবন্দি
জরুরী কথাগুলোও সব হয় না বলা,
ছোট্ট একটা দুঃখ, ছোট্ট একটা হাসি
তোমাকে খুঁজে মা মরা মেয়েটির মতো,
কাছে পেলে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতো কিন্তু
তোমাকে কাছে পাওয়াই যে মুশকিল।
মানুষ এমনভাবে বদলায়, কবিতায় পড়েছি,
ওরকম করে আমার জীবনও যে
একটা আস্ত কবিতা হয়ে উঠবে, কেবল
তুমি বদলে যাবার পরই তা টের পেলাম।
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ফুরায়,
অনেক প্রতীক্ষার দিনও একদিন ফুরায়,
কলমের কালি, জৈষ্ঠ্যমাসের রোদ,
বাবুই পাখির বাসা বোনা, কুমারীর স্বপ্ন
সবই একদিন ফুরায়, তেমনি একদিন ফুরাবে
জীবনের সব নিঃশ্বাস, নিঃসঙ্গতা
আমি ফুরিয়ে যাবার আগেই যদি
আমার চোখের জল ফুরিয়ে যায়
তবে আর কোন চাওয়া পাওয়া থাকবে না
তোমার চলে যাওয়া পথের ধুলোর কাছে।
Leave a Reply