বিশেষ প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার (দক্ষিণ) প্রতিনিধি ও মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় যুগান্তরের মির্জাগঞ্জ(দক্ষিণ) উপজেলা প্রতিনিধি মো.রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম এহেন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের তদন্তমূলক আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি হুমকিদাতাও উল্টো থানায় অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি। জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘মির্জাগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম’ ১২ মার্চ ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি -মির্জাগঞ্জে হতদরিদ্রের চাল নিয়ে চালবাজি’ ও সর্বশেষ ১৯ মার্চ ‘মির্জাগঞ্জে জন্ম ও মৃত্যু সনদ সংশোধনের’গলাকাটা ফি’, শিরোনামে ধারাবাহিক তিনটি সংবাদ প্রকাশের পর ওইসকল প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সংশ্লিষ্ট উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু প্রতিবেদকের ওপর ক্ষীপ্ত হন। এমনকি স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী ডেকে সংবাদ সম্মেলনও করেন।তিনি রাস্তাঘাটে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছিলেন। পরে গত ২১ মার্চ ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী লাভলুর বিরদ্ধে আরো কিছু অনিয়মের তথ্য পেলে ইউপি কার্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় অনুসন্ধান করতে যায় যুগান্তরের ওই প্রতিবেদক। পরে চেয়ারম্যান ও তার ভাই কাজী মশিউর রহমান বাবলু সহ সাথে থাকা আরো ১০-১৫ জন নানা ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্ষীপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আক্রমনের প্রস্তিতে নেয়। এসময় প্রতিবেদকের সাথে থাকা লোকজন ডাক চিৎকার দিলে আরো লোকজন এসে জড়ো হলে পূণরায় কোন সংবাদ প্রকাশ করলে খুন করে নদিতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে যুগান্তর প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সকলের সাথে আলোচনা করে ২২ মার্চ বিকালে মির্জাগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলুসহ সাথে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু মোবাইল ফোনে বলেন, যুগান্তর প্রতিনিধি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আমাকে বলেছেন আমার অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে আরো হবে, তাই আমি বলেছি তোমার থেকে অনেক বড় বড় সাংবাদিক দেখা আছে। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন,’ অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ লিখলে যদি সাংবাদিকদের হেনস্থার সিকার হতে হয় তবে দেশে বাক স্বাধিনতা বলতে কিছুই থাকেনা। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো.আনোয়ার হোসেন বলেন,’ এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply