বুকের ভেতর একটা ভীষন ছোট্ট সময় ,
কেমন যেন থমকে গেছে , আটকে আছে ছবির ফ্রেমে।
সেই ছবিতে ভোর সকালে রোদ খেলে যায় আপন মনে,
কাজল কালো দীঘির জলে রাত্রি নামে অভিমানে।
একটা সময় ভীষন আপন ,কেমন যেন অন্তঃপুরের
ছোট্ট মেয়ের বাক্সভরা মোমের পুতুল, হাওয়াই মিঠাই
হাতের মুঠোয় মিলিয়ে যেতেই ,চোখ হয়ে যায় ছলো ছলো।
একটা সময় ভীষন প্রিয় , শ্রাবন মেঘের দিনের মতো
লোডশেডিং এর সন্ধ্যা গুলো বেরিয়ে পড়ে রেলিং ছেড়ে
হাসনাহেনার গন্ধ বাতাস হঠাৎ এসে দেয় ফিরিয়ে
কিশোরবেলার গল্পগাছা, সহজ বাঁচা।
সেসব এখন গল্প ভীষন , আটকে পড়া নেটের জ্যামে
বাক্স টিভির সস্তা নাটক দেয় না দোলা কারোর মনে
কেউ ভাসে না চোখের জলে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হলে
সময় এখন স্বস্তি খোঁজে নেটফ্লিক্স এর ইন্দ্রজালে।
ব্যস্ত সবাই ভীষন অতি মোবাইল ফোনের স্ট্রিমিং এ
এই শহরে ব্যস্ত সবাই মিছিল , মিটিং , চ্যাটিং নিয়ে
সময় এখন যায় ফুরিয়ে প্রতি পলের কঠিন দামে
ব্যস্ত সবাই হিসেব কষে জীবনটাকে নিংড়ে নিতে।
কেউ জানেনা একটা ভীষণ ছোট্ট সময় যত্নে আছে বুকের ভেতর,
সেই সময়ে শ্বাস নেওয়া যায়, চোখ মেলা যায় মনের মতো,
বুনোঘাসের গন্ধ মেখে শান্ত মেঠো পথটি ধরে
আনমনেতে পার হওয়া যায় অবিরত।
ভরদুপুরে একলা ছাদে সেই মেয়েটির বুকের ভেতর ধুকপকুনি
ঠিক শোনা যায় ঘড়ির মতো।
একটা ভীষন ছোট্ট সময় সেইখানেতেই আটকে গেল।
বাইশ বছর পাল্টে দিল অনেক সময় , বদলে দিল অনেক কিছু।
দিনবদলের ঘূনিপাকে সেই সে সময়
হাতছানি দেয় পিছু পিছু।
বুকের ভিতর আটকে পরা একটা ভীষন ছোট্ট সময় হাতছানি দেয় পিছু পিছু।
২৭/০৪/২০২২
Leave a Reply