প্রণয়ালাপ ও বিরহলিপি :
গর্ভসঞ্চারী মেয়ের গর্ভের শিশুর মতো
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠছে আমার চিন্তার উদ্ভিন্ন চর।
চরটি কুমিরের মতো সটান হয়ে শুয়ে রোদ পোহায়,
চরটি একটি মরা নদীকে গিলে খেয়েছে
যেমন করে তরতাজা সিংহ বন্য প্রাণীগুলোকে গিলে খায়।
হঠাৎ নিজেকে নিজ গৃহে পরবাসী-এলিয়েন মনে হচ্ছে।
খুঁটে খুঁটে খাওয়া জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো
দেহ ও মনে পুষ্টি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রভাতের অনিরুদ্ধ সূর্য পড়ন্ত বিকেলের পরাজিত
সূর্যের সাথে সন্ধি করতে গিয়েও আচানক থমকে দাঁড়ায়।
রোজ রোজ দেখছি আগুনের ভোজ
আমার আবেগের আসমানী রং
ধীরে ধীরে নীল তিমির আকার রং ধারণ করছে,
টাইরেসিয়াস এর মতো ত্রিকালদর্শী আমি নই,
যাপিত জীবনের নিঙরানো গল্প আজ আমার মননের
কোলাপসিবল গেইটে রুদ্ধ।
সভ্যতা, ভব্যতা, শুদ্ধতা, ন্যায় ও মানবিকতার মতো
বুনিয়াদী পণ্যগুলোর অভূতপূর্ব দরপতন। মূল্য হ্রাসেও
ক্রেতা দুর্লভ। লাল মরিচের মতো লালচে নীতিবাক্য বিনামূল্যেও
কাউকে গছাতে পারছি না।
রংচটা লোভগুলোর আকাশ ছোঁয়া বাজার দর।
শয্যাশায়ী সত্যের ডায়াগনসিস করার মেশিন ও চিকিৎসক আজ
দুর্লভ, দুর্মুল্য।
একদিন হয়তো ফলবতী হয়ে ওঠবে
আমার অতি সেচ দেয়া চাষের জমিন।
বেড়ে ওঠবে সারি সারি শস্যদানা,
আর আমাদের হৃদ্ধ, শুদ্ধ সবুজ চেতনা।
একদিন হয়তো আমাদের শহরে আসবে
জলপাইরঙা লাবণ্যময় দিন।
কান্নার বে-ওয়ারিশ জলগুলো ধীরে ধীরে নদীর জলে
লীন হয়ে যাবে। জীবন খুঁজে নিবে জীবনের কূল।
“প্রত্যাশার ভ্রুনে বিম্বিত স্বপ্নের অবয়ব
বৈতালিকের কন্ঠে পুলকিত কলরব”
ডিআইজি
Leave a Reply