পেঁয়াজ,চিনি আর ডিম এর দাম নিয়া হৈচৈ করা বাঙ্গালী …
একবারও কি ভেবে দেখেছে
কিংবা খেয়াল করেছে
প্রতিটা পরিবারে সাধারন খাবারের সাথে সাথে
এখন ওষুধটাও নিত্যপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে ।
বিভিন্ন কারনে সেটা
আবহাওয়ার পরিবর্তন , খাওয়ার ভেজাল
রোগের ভিন্নতা , দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়া
Non communicable diseases বেড়ে যাওয়া ,
ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস এবং ষ্ট্রোকের রুগী
তাই বর্তমানে এমন কোন পরিবার নাই যারা প্রতিদিনই কোন না কোন ওষুধ কিনছে না ।
আর এখানেই খেলা বা ব্যবসা শুরু।
গত কয়েক বছরে ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুন
কোন কোন ক্ষেত্রে তা ৫ থেকে ১০ গুন
এমন অনেক আছে প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৩৫ টাকা থেকে এক লাফে ৫০ টাকা হয়েছে
ডলার সংকট বা কাঁচামালের ওজুহাতে
এত বৃদ্ধি ?
আমি ভাংগা চূরার ডাক্তার
প্রতিটা প্লাষ্টার আগে ছিল ৩০..৪০..৬০..৮০..
এখন ১০০ টাকা ,
এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়ে চলছে হরিলুট
তথা পরবর্তী প্রজন্মকে অনিশ্চিত
ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়ে চলছে ব্যবসা আর ব্যবসা ।কোন antibiotic এই এখন আর সহজে কাজ করছে না ।
সাধারন ব্যথা পাইলেই দোকানদার
এবং রুগীর ইচ্ছায় বড় বড় antibiotic খাচ্ছে ,
শরীরে জ্বর জ্বর ভাব হওয়ার সাথে সাথেই antibiotic .
সব শেষ হয়ে যাচ্ছে
আর এখানেই ওষুধ কোম্পানীগুলো antibiotic এর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ,
আর একটা ফাঁকি আছে retail price এ
যা লেখা আছে আসলে দোকানদারের কেনা পরে
অনেক কম , আবার বিক্রি হয় ৫/১০% লাভে ।
যেমন একটা antibiotic আমি আমার আত্মীয়ের জন্য কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনেছি ৭০০ টাকা করে
তার retail price ১২০০ টাকা .. বিক্রি হবে ১৩০০ টাকায় ।
সেদিন একটা surgical syringe কিনেছি মেডিকেলের সামনে থেকে ১৪০ টাকায়
একই syringe অন্য জায়গায় কিনেছি ২৫০ টাকায় ..
যে যার মত দাম রাখতেছে
আসলে দেখার কতৃপক্ষ কে ?
কে ঘোড়ার গলায় ঘন্টা বাঁধবে ?
তাই নতুন সরকার
সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্তদের কাছে কড়জোড়ে অনুরোধ
ওষুধের বাজারের এ নৈরাজ্যের এখনই লাগাম টেনে ধরুন
কিছু কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে , কোম্পানী এবং সরকার দুইপক্ষই ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্য দিয়ে
জনগনের নাগালের মধ্যে রাখবেন
বিশেষ করে ১.ডায়াবেটিস,২.গ্যাষ্ট্রিক , ৩.হাই প্রেসার
স্যানিটারী ন্যাপকিনএবং খাবার স্যালাইন দিতে হবে একদম ফ্রী ।
বাংলাদেশের সকল ওষুধের দোকানে
এক ওষুধ এক দামে দিতে হবে।
চাইলেই যত্র তত্র দোকান খোলা যাবে না
Antibiotics বিক্রি প্রেসক্রিপশন ছাড়া নয়
প্রতি থানায় চিকিকৎসক, পুলিশ প্রশাসন,দোকান মালিক ,কোম্পানীর প্রতিনিধি , জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে একটা টীম গঠন করে সবকিছু তদারকি করতে হবে ।
সরকার প্রতি বছর একবার সবকিছু রিভিউ করবে ।
জীবন বাঁচাতে , জীবিকা নির্বাহ করতে , জীবনের তাগিদে
সব শ্রেনী পেশার মানুষ এক হয়ে
জীবন রক্ষাকারী এই জরুরী জিনিষটার প্রতি
অবশ্যই নজর দিবেন ।
বদলে যাও বদলে দাও
ভাল কিছুর প্রত্যশায় ….
ডা. সুদীপ হালদার
সিনিয়র কনসালটেন্ট
অর্থোপেডিকস্।
Leave a Reply